গাজায় ইসরায়েলি হামলার ফলে সৃষ্টি হওয়া মানবিক বিপর্যয় নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
নিউইয়র্কে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “গাজা আজ এক মৃত্যু উপত্যকায় রূপ নিয়েছে। বেসামরিক মানুষজন যেন অন্তহীন মৃত্যুর এক চক্রে আটকে পড়েছে।”
জাতিসংঘ মহাসচিব জানান, “এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় এক ফোঁটা ত্রাণ পৌঁছায়নি—না খাদ্য, না জ্বালানি, না ওষুধ; এমনকি কোনো বাণিজ্যিক পণ্যও নয়। ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ হওয়ার পর মানবিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।”
এদিকে, ইসরায়েলি বাহিনী ও পুলিশ জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ছয়টি স্কুল জোরপূর্বক দখল করে সেগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছে, যা শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর নতুন করে আঘাত হেনেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ২১৩ জন।
সাংবাদিকদের জন্য আরও একটি দুঃসংবাদ আসে দক্ষিণ গাজার খান ইউনুসে। নাসের হাসপাতালের কাছে সাংবাদিকদের একটি ক্যাম্পে ইসরায়েলি হামলায় গুরুতর দগ্ধ সাংবাদিক আহমেদ মানসুর মারা গেছেন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত তিনজন।
এদিকে ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে মিলিত হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বৈঠকে গাজা থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের কোন কোন দেশ গ্রহণে আগ্রহী হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার ৮১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৫ হাজার ৬৮৮ জন আহত হয়েছেন। তবে গাজার সরকার পরিচালিত মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বহু মানুষ চাপা পড়ে আছেন, যাদের অধিকাংশই নিখোঁজ এবং তাঁদের মৃত বলেই মনে করা হচ্ছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: