যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির জবাবে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে চীন।
আগামী ১০ এপ্রিল থেকে এ শুল্ক কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে কিছু দুর্লভ পণ্যের রপ্তানিতেও নতুন বিধিনিষেধ জারি করেছে বেইজিং, যা চলমান বাণিজ্য উত্তেজনাকে আরও তীব্র করে তুলতে পারে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, চীনা পণ্যের ওপর আরও ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। আগের ২০ শতাংশসহ মোট শুল্ক দাঁড়ায় ৫৪ শতাংশে। চীনের এই পাল্টা সিদ্ধান্তকে তারই প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এর আগে বেইজিং মার্কিন কয়লা ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল। নতুন শুল্ক যুক্ত হওয়ায় এসব পণ্যের ওপর মোট শুল্কের হার এখন ৪৯ শতাংশে পৌঁছেছে।
চীনের ঘোষণা সামনে আসার পর ট্রাম্প নিজের সামাজিক মাধ্যম 'ট্রুথ'-এ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, "চীন ভুল করছে। তারা আতঙ্কিত, আর তাদের এই পদক্ষেপ নেওয়ার মতো সক্ষমতাও নেই।"
অন্য এক পোস্টে তিনি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির পর ভিয়েতনাম আলোচনায় বসেছে এবং মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েছে।
একইসঙ্গে দেশটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়ানোরও প্রস্তাব দিয়েছে। এর আগে ভিয়েতনাম তিন মাসের সময় চেয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছিল।
এসআর
মন্তব্য করুন: