[email protected] মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫
৪ ভাদ্র ১৪৩২

দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন টিউলিপ সিদ্দিক

প্রতিদিনের বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৫৯ এএম

ফাইল ছবি

বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে কথা বলেছেন লন্ডনের এমপি টিউলিপ সিদ্দিক।

তিনি জানিয়েছেন, এসব অভিযোগের বিষয়ে তার আইনজীবীরা প্রস্তুত এবং এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো কর্তৃপক্ষ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।

সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টিউলিপ বলেন, “আমার আইনজীবীদের চিঠি দেখুন, দেখুন আদৌ আমার কোনো প্রশ্নের উত্তর দেওয়া প্রয়োজন কি না... (বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ) আমার সঙ্গে একবারও যোগাযোগ করেনি, তবে আমি তাদের কাছ থেকে শুনতে প্রস্তুত।”

লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেট আসনের এমপি টিউলিপ সিদ্দিক চলতি বছরের জানুয়ারিতে ব্রিটিশ অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে বাংলাদেশে চলমান দুর্নীতি তদন্তে তার নাম উঠে আসলে তিনি বিরোধীদের চাপের মুখে পড়েন।

সরকারি পদ ছাড়ার পর এই প্রথম তিনি এ বিষয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করলেন। তিনি বলেন, “অভিযোগ উঠেছে বেশ কিছুদিন হলো, কিন্তু (বাংলাদেশের) কেউ এখনো আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।”

অন্যদিকে, বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবীরা কয়েক সপ্তাহ আগে দুদককে পাঠানো এক চিঠিতে দাবি করেন, “এসব অভিযোগ মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক।” চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, দুদক যদি ২০২৫ সালের ২৫ মার্চের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশ্ন না করে, তবে এটি ধরে নেওয়া হবে যে তার বিরুদ্ধে কোনো বৈধ অভিযোগ নেই।

টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোর মূল কেন্দ্রবিন্দু তার খালা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার পারিবারিক সম্পর্ক। শেখ হাসিনা প্রায় দুই দশক বাংলাদেশ শাসন করেছেন এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ক্ষমতা হারান। তার বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী শাসন, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে, যদিও তিনি এসব অভিযোগকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন।

টিউলিপ সিদ্দিকের লন্ডনের কয়েকটি সম্পত্তির বিষয়ে তদন্ত চললেও, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মান নিয়ন্ত্রক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস বলেছেন, “কোনো অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।” তবে তিনি যোগ করেন, পারিবারিক সম্পর্কের কারণে টিউলিপের আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল।

টিউলিপ সিদ্দিক স্পষ্টভাবে বলেছেন, “আমি কোনো অন্যায় করিনি। তবে আমার অবস্থান সরকার ও জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে বলে মনে হয়েছে। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর