কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নি।
তিনি জাস্টিন ট্রুডোর উত্তরসূরি হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মার্ক কার্নি এর আগে ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ৫৯ বছর বয়সী এই নেতা বিজয়ী হওয়ার পর দেওয়া এক বক্তৃতায় কানাডার অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় কঠোর অবস্থানের প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি বলেন, কানাডা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে থাকবে এবং জাতীয় স্বার্থকে সুরক্ষিত করবে।
আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কার্নি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে এবং পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব দেবেন।
কয়েক সপ্তাহ পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে তার দল কতটা শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে, তা নিয়ে ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ প্রায় এক দশক দায়িত্ব পালনের পর জনসমর্থন কমে যাওয়ার প্রেক্ষিতে গত জানুয়ারিতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন জাস্টিন ট্রুডো। বিশেষ করে আবাসন সংকট ও জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় নিয়ে জনমনে অসন্তোষের কারণে তার ওপর দলীয় চাপ বৃদ্ধি পায়।
রোববার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে কার্নি ৮৫.৯ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডকে পরাজিত করেন।
কানাডার সংবিধান অনুযায়ী, হাউস অব কমন্সে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী হন। সে অনুযায়ী, পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত মার্ক কার্নি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: