মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যাচ্ছেন, যার ফলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যাচ্ছেন, যার ফলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা সৃষ্টি হতে পারে
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আগামী সপ্তাহেই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতে পারে।
নিষেধাজ্ঞার কারণ কী?
তিনটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত ঝুঁকির ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তবে চূড়ান্ত তালিকায় আরও কিছু দেশ অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বলেও সূত্রগুলো জানিয়েছে।
২০১৭ সালে প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্রাম্প সাতটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। এবার সেই নীতির পুনরাবৃত্তি হলেও এটি আরও বিস্তৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান
২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ট্রাম্প কঠোর নীতিমালা গ্রহণ করেছেন। সেদিনই তিনি শতাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন, যার মধ্যে একটিতে বিদেশি নাগরিকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুরক্ষা যাচাই আরও কঠোর করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এই আদেশের আওতায় ১২ মার্চের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকা চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। রয়টার্সের তথ্যমতে, আফগানিস্তানের নাগরিকদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে, এবং পাকিস্তানও এই তালিকায় থাকতে পারে।
পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া
রয়টার্সের প্রতিবেদন প্রকাশের পর পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য পাননি। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত রিজওয়ান সাঈদ শেখ বলেছেন, "আমরা সংবাদমাধ্যমে খবর দেখেছি, তবে এখনো সরকারিভাবে কোনো বার্তা পাইনি।"
এই নিষেধাজ্ঞার তত্ত্বাবধান করছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট, জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এবং ডিরেক্টর ফর ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স অফিস। এখন দেখার বিষয়, এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়িত হলে দুই দেশের সম্পর্কে কী প্রভাব ফেলে।
এসআর
মন্তব্য করুন: