ট্রাম্প: ‘আমার সঙ্গে কেউ তর্ক করতে পারবে না’, মোদিকে স্পষ্ট বার্তা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়েছেন, ভারতও ওয়াশিংটনের পারস্পরিক শুল্ক কাঠামোর আওতার বাইরে থাকবে না।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ভারত যে পরিমাণ শুল্ক আরোপ করে, একই হারে ভারতীয় পণ্যের ওপরও শুল্ক আরোপ করা হবে।

সম্প্রতি ফক্স নিউজের সাংবাদিক শন হ্যানিটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বিশ্ব বাণিজ্য ও মার্কিন শুল্ক কাঠামো নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। ওই সময় তার পাশে উপস্থিত ছিলেন টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক।

ট্রাম্প-মোদি কথোপকথন

ট্রাম্প বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বলেছি—আপনারা যেভাবে শুল্ক আরোপ করেন, আমরাও ঠিক সেভাবে করব। পারস্পরিক শুল্ক ব্যবস্থা চালু করব।”

তিনি আরও বলেন, “মোদি বললেন, ‘না, না, এটা আমি পছন্দ করি না।’ আমি বললাম, ‘না, না, এটা হবেই। আপনারা যা নেবেন, আমরাও তা-ই নেব।’ আমি বিশ্বের সব দেশের সঙ্গেই এটা করছি।”

ভারতের উচ্চ শুল্ক নীতি ও ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া

ভারত আমদানি করা মার্কিন পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করে, বিশেষত অটোমোবাইল খাতে, যেখানে বিদেশি গাড়ির ওপর ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসানো হয়।

ট্রাম্পের পাশে বসা ইলন মাস্কও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “হ্যাঁ, ভারতে গাড়ি আমদানির ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক রয়েছে।”

ট্রাম্প বলেন, “এটা শুধু গাড়ি খাতে নয়, আরও অনেক ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এ ধরনের উচ্চ শুল্কের কারণে মার্কিন কোম্পানিগুলোর ভারতে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়ে, যদি না তারা সেখানে উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করে।”

যুক্তরাষ্ট্রের ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নীতি

ট্রাম্প বলেন, “আমার সঙ্গে কেউ তর্ক করতে পারবে না। যদি আমি বলি ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হবে, সবাই বলবে, ‘ওহ, এটা ভয়ঙ্কর।’ তাই আমি বলি, ‘তারা আমাদের পণ্যের ওপর যা শুল্ক নেয়, আমরাও তা-ই নেব।’ তখন তারা থেমে যায়।”

প্রসঙ্গত, ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদেও ভারতকে ‘শুল্ক রাজা’ বলে অভিহিত করেছিলেন এবং মার্কিন পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের সমালোচনা করেছিলেন।

ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্ক

সম্প্রতি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওয়াশিংটন সফরের পর, উভয় দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ করে ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পাশাপাশি, ২০২৫ সালের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি (বিটিএ) সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।