protidinerbangla22@gmail.com শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
২৯ চৈত্র ১৪৩১

তাইওয়ান ইস্যুতে মার্কিন নীতির পরিবর্তন, চীনের তীব্র প্রতিক্রিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ৮:৫২ পিএম

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সম্প্রতি তাদের ওয়েবসাইট থেকে “আমরা তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করি না”—এমন বিবৃতি সরিয়ে নিয়েছে, যা চীনের তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। চী

 চীন এই পরিবর্তনকে ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জন্য ভুল বার্তা’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ভুল সংশোধনের’ আহ্বান জানিয়েছে।

মার্কিন ব্যাখ্যা ও চীনের প্রতিক্রিয়া

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে যে এটি একটি “স্বাভাবিক আপডেট” এবং তারা এখনও ‘এক চীন’ নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ‘এক চীন’ নীতি অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে চীনকে স্বীকৃতি দেয়, তবে তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবুও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনে সদস্যপদ পাওয়ার বিষয়ে সমর্থন দিয়ে আসছে।

বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই পরিবর্তনকে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, “এটি মার্কিন অবস্থানের গুরুতর পশ্চাদপসরণ এবং তাইওয়ানকে চীনবিরোধী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের আরেকটি উদাহরণ।” চীনা মুখপাত্র গুও জিয়াকুন যুক্তরাষ্ট্রকে তাত্ক্ষণিকভাবে ভুল সংশোধন করতে এবং প্রকৃতভাবে ‘এক চীন’ নীতি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।

তাইওয়ানের প্রতিক্রিয়া

তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিন চিয়া-লুং যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিবর্তনকে ‘তাইওয়ান-বান্ধব ইতিবাচক শব্দচয়ন’ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, তাইওয়ানে বেসরকারিভাবে কার্যক্রম পরিচালনাকারী মার্কিন প্রতিষ্ঠান—আমেরিকান ইনস্টিটিউট স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি যে, আমরা উভয় পক্ষের (তাইওয়ান ও চীন) একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের বিরোধিতা করি।”

তাইওয়ান ইস্যুতে উত্তেজনার নতুন মাত্রা

চীন তাইওয়ানকে তাদের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে মনে করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে একীভূত করার হুমকি দিয়ে আসছে। অন্যদিকে, অনেক তাইওয়ানী নাগরিক নিজেদের একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে দেখেন, তবে বেশিরভাগই চীনের সঙ্গে সংঘাত এড়িয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে চান।

এই প্রেক্ষাপটে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে নীতিগত এই পরিবর্তন তাইওয়ান ইস্যুতে চীন-মার্কিন সম্পর্কের মধ্যে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে, এমনটি বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর