বাংলাদেশ ও ভারত পারস্পরিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও চ্যালেঞ্জ
বৈঠকে দুই নেতা বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ইস্যু, আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ ও পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তারা স্বীকার করেন যে, দুই দেশই কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে, যা কেবল পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কথা স্মরণ করে উভয় পক্ষ উল্লেখ করে যে, তখন থেকে বাংলাদেশ-ভারত একাধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিয়েছে।
সীমান্ত সমস্যা ও পানি চুক্তি
উভয় পক্ষ আশাবাদ প্রকাশ করে যে, ১৮-২০ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে সীমান্ত সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হবে এবং কার্যকর সমাধান বেরিয়ে আসবে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি পুনর্নবায়ন নিয়ে আলোচনা শুরু করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। পাশাপাশি, সার্কের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের গুরুত্ব তুলে ধরে ভারত সরকারের ইতিবাচক সহযোগিতা কামনা করেন।
আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সম্মেলন
ভারত ও ওমানের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত অষ্টম ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সে অন্তত ২৭টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অংশগ্রহণ করেন।
এই সম্মেলনের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করার নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে তৌহিদ হোসেন ও এস জয়শঙ্করের মধ্যে آخرবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
এসআর
মন্তব্য করুন: