ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন।
বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, "ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও জোরদার করা হবে। বিশেষ করে, আমরা এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছি।
তিনি আরও জানান, "ভারত এখন ন্যাটোর মিত্র ইসরায়েল ও জাপানের মতোই এফ-৩৫ বিমান কেনার অনুমতি পাচ্ছে, যা দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্কের দৃঢ়তার প্রতীক।"
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, "ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক কেবল বাণিজ্যিক নয়, বরং কৌশলগত অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গড়ে উঠছে। শিগগিরই দুই দেশের মধ্যে একটি লাভজনক বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হবে, যা ব্যবসায়িক সুযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি শুল্ক সুবিধা নিশ্চিত করবে।"
ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মোদি-ট্রাম্প বৈঠকে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু আলোচিত হয়েছে—
✔ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি বৃদ্ধি
✔ যুদ্ধযান ও জেট ইঞ্জিন ক্রয়ের বিষয়ে সমঝোতা
✔ মার্কিন কৃষিপণ্য ও পারমাণবিক শক্তি খাতে শুল্ক হ্রাস
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন, "এই বছরেই ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি বড় বাণিজ্য চুক্তি হবে, যা দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে।"
এছাড়া, ট্রাম্প ভারতের কাছে অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে আরও সহযোগিতা চেয়েছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠক ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে আরও গভীর করবে। বিশেষ করে, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়টি ভারতের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বিস্তারে ভূমিকা রাখবে।
দুই দেশের মধ্যে আসন্ন চুক্তিগুলো বাস্তবায়িত হলে, অর্থনীতি ও প্রতিরক্ষা খাতে আরও দৃঢ় অংশীদারিত্বের পথ প্রশস্ত হবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: