গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় আজ শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তিন জিম্মিকে মুক্তি দেবে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
এর বিনিময়ে, ইসরাইলি কারাগারে বন্দি ১৮৩ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে। খবর আলজাজিরা।
হামাস মুক্তি দিতে যাচ্ছে তিনজন জিম্মিকে, যাদের নাম হল—এলি শারাবি, ওহাদ বেন আমি এবং ওর লেভি। তারা সবাই বেসামরিক ব্যক্তি। হামাসের পক্ষ থেকে এই তিনজনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে এবং ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী দপ্তর নিশ্চিত করেছে যে, তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের মুক্তির খবর জানিয়ে দিয়েছে।
এদিকে, ফিলিস্তিন বন্দী বিষয়ক কমিশন ১৮৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দির নামও প্রকাশ করেছে। তাদের মধ্যে ১৮ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫৪ জন দীর্ঘমেয়াদী কারাদণ্ড ভোগ করছেন। ১১১ জন ফিলিস্তিনি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজা থেকে আটক হন, তাদের বয়স ২০ থেকে ৬১ বছরের মধ্যে।
গত ১৯ জানুয়ারি ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, এরপর হামাস ১৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। ইসরাইলও ৩৮৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।
যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে ৩ সপ্তাহের সময়সীমায় হামাসের পক্ষ থেকে আরও ৩৩ জিম্মি এবং ইসরাইলের পক্ষ থেকে ১,৯০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, তবে ইসরাইল জানিয়েছে, ওই ৩৩ জিম্মির মধ্যে ৮ জন মারা গেছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলি ভূখণ্ডে হামলা চালায়, যার ফলে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে গাজায় জিম্মি করা হয়। এর প্রতিশোধে, ইসরাইল গাজায় পাল্টা হামলা চালায় এবং ১৫ মাস ধরে চলা হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় গাজার দুই-তৃতীয়াংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: