বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ভাষণ সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে ভারত।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দিল্লিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. নূরুল ইসলামকে তলব করা হয়।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, "ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক, গঠনমূলক ও পারস্পরিক উপকারী সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়, যা সাম্প্রতিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকগুলোতে পুনরায় উল্লেখ করা হয়েছে। তবে দুঃখজনকভাবে, বাংলাদেশের কিছু বক্তব্য ভারতকে নেতিবাচকভাবে চিত্রিত করছে এবং অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য দায়ী করছে, যা কাঙ্ক্ষিত নয়।"
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার বক্তব্য তার ব্যক্তিগত মতামত, এতে ভারতের কোনো ভূমিকা নেই। ভারত মনে করে, এটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিবাচক গতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
ভারত সরকার দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে ইতিবাচক অবস্থান বজায় রাখার চেষ্টা করছে এবং বাংলাদেশ থেকেও একই প্রত্যাশা করছে।
এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান করে দেওয়া বক্তব্যের কারণে বাংলাদেশে কিছু অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ধানমন্ডির ৩২ নম্বরসহ বিভিন্ন স্থানে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, "শেখ হাসিনা যাতে এ ধরনের বক্তব্য থেকে বিরত থাকেন, সে বিষয়ে ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে।"
তিনি আরও দাবি করেন, শেখ হাসিনার বক্তব্য বাংলাদেশে ছাত্র ও জনসাধারণের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, যা অস্থিরতার কারণ হতে পারে।
উল্লেখ্য, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শেখ হাসিনার বক্তব্য নিয়ে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই এবং তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখতে আগ্রহী।
এসআর
মন্তব্য করুন: