এর আগে গত মার্চ মাসে স্পেন, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা ও স্লোভেনিয়া জানায়, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ারে জন্য তারা যৌথভাবে কাজ করবে।
বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ মে মাসের শেষের দিকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র বিষয়ক নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সৌদি আরবের রিয়াদে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বিশেষ বৈঠকের এক ফাঁকে এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি। খবর আল আরাবিয়ার।
এর আগে গত মার্চ মাসে স্পেন, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা ও স্লোভেনিয়া জানায়, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ারে জন্য তারা যৌথভাবে কাজ করবে।
তবে ইউরোপের এই চার দেশের ফিলিস্তিনপন্থী মনোভব ভালোভাবে নেয়নি ইসরায়েল। দেশ চারটিকে সতর্ক করে দিয়ে ইসরায়েল বলেছে, তাদের উদ্যোগটি সন্ত্রাসবাদের জন্য পুরস্কার হিসেবে বিবেচিত হবে।
গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাতদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন।
অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৩০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত আহত হয়েছে ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ।
গাজা যুদ্ধে মধ্যে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে আবারও দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের বিষয়টি সামনে আসছে। দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের মূল বিষয় হলো ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র একসঙ্গে শান্তিতে থাকবে। এরই অংশ হিসেবে এই যুদ্ধের পরপর বেশ কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: