[email protected] মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
৯ বৈশাখ ১৪৩২

দিল্লিতে বিধানসভা ভোট আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ৭:৩৪ এএম

ফাইল ছবি

আজ ভারতের দিল্লিতে বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

৭০ আসনবিশিষ্ট এই নির্বাচন একদিনেই সম্পন্ন হবে এবং ফলাফল ঘোষণা করা হবে শনিবার। ফলাফলের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হবে, টানা চতুর্থবারের জন্য দিল্লির শাসনভার দেবে আম আদমি পার্টি (আপ), নাকি ২৭ বছর পর বিজেপি পুনরায় মসনদে বসবে।

এবারের নির্বাচনে বিজেপি আপকে পরাজিত করতে নানা রকম পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। বিশেষ করে, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে আবগারি (মদ) মামলায় লড়াইয়ে বিজেপি জোর তৎপরতা চালিয়েছে। দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে কেজরিওয়াল ও তার দলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিজেপি রাজনৈতিক যুদ্ধে নেমেছে। কেজরিওয়াল, মনীশ সিসোদিয়া, সত্যেন্দ্র জৈন, ও সঞ্জয় সিংকে একাধিক দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে অনেকেই জেলে ছিলেন, যদিও বর্তমানে তারা জামিনে মুক্ত। কংগ্রেস, যেটি ইন্ডিয়া জোটের অংশ, এবার তাদের দলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তাদের লক্ষ্য দিল্লিতে রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা।

গত দুই বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস কোনো আসনও পায়নি এবং তাদের ভোটের হার ছিল মাত্র ৪ শতাংশের মতো। এখন কংগ্রেস নিজেদের নতুন করে প্রাসঙ্গিক করতে চাইছে, ফলে এটি একটি ত্রিমুখী লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা বিজেপির জন্য একটি বড় সুযোগ। বিজেপির ধারণা, কংগ্রেস ও আপের ভোট ভাগ হয়ে গেলে তাদের ক্ষমতায় আসার সুযোগ বাড়বে। তবে, যদি কেজরিওয়ালের দল ক্ষমতায় থাকে, তবে তা প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্য একটি বড় পরাজয় হতে পারে, বিশেষত ২০১৫ এবং ২০২০ সালের পর এবার ২০২৫ সালেও দিল্লি তাদের অধরা থাকবে।

এদিকে, আম আদমি পার্টি তাদের জয় নিয়ে আশাবাদী। কেজরিওয়াল নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে বলেন, লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হবে, তবে তার দলের আশা, তারা অন্তত ৫৫টি আসন পাবে। নারীরা যদি একসাথে ভোট দেয়, তাহলে এই সংখ্যা ৬০ আসনেও পৌঁছাতে পারে।

উল্লেখ্য, আম আদমি পার্টি ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রথম নির্বাচনে ২৮টি আসন জিতে কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করেছিল, তবে ৪৯ দিনের মধ্যে কেজরিওয়াল পদত্যাগ করেন। এক বছর পর ২০১৫ সালের নির্বাচনে, তারা ৭০ আসনের মধ্যে ৬৭টি আসন পেয়ে বিপুল জয় পায়। এরপর ২০২০ সালের নির্বাচনে, তারা ৬২টি আসন পায়, এবং ৮টি আসন পায় বিজেপি। কেজরিওয়াল তার জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের মাধ্যমে, যেমন মাসে ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ও ২০ হাজার লিটার পানি বিনামূল্যে দেওয়া, মহল্লা ক্লিনিক স্থাপন, নারীদের সরকারি বাসে বিনামূল্যে যাতায়াতের ব্যবস্থা, সরকারি স্কুলগুলোর মান বৃদ্ধি, এবং বয়স্কদের তীর্থযাত্রা পাঠানো, দিল্লিবাসীর মন জয় করতে সক্ষম হন।

বিজেপি যদিও এই প্রকল্পগুলোকে “দান-খয়রাতের নীতি” হিসেবে批评 করেছে, তবে এবার নিজেরাই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনকল্যাণমূলক প্রকল্প ঘোষণা করেছে। কংগ্রেসও পিছিয়ে নেই। তিন দলের প্রতিশ্রুতির মধ্যে দিল্লিবাসীরা কাকে বেছে নেবে, তা দেখার জন্য এখন অপেক্ষা করতে হবে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর