যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর কানাডা, মেক্সিকো এবং চীনের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন।
ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের প্রভাব বিশ্ববাজারে ইতোমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, যেখানে ইউরোপ এবং এশিয়ার বেশ কিছু শেয়ারবাজারে দরপতন শুরু হয়েছে। মেক্সিকান পেসো, কানাডিয়ান ডলার ও ভারতীয় রুপি সহ বিভিন্ন মুদ্রার বিপরীতে ডলারের মূল্য বেড়েছে।
এ পরিস্থিতিতে কানাডা ও মেক্সিকো শুল্কের বিপরীতে পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, এবং চীনও ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যযুদ্ধের সূচনা হতে পারে।
এ বিষয়ে ট্রাম্প দাবি করেছেন, শুল্ক আরোপের ফলে আমেরিকান ভোক্তাদের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না, তবে অর্থনীতিবিদরা এই ধারণার বিরোধিতা করেছেন। রোববার ট্রাম্প নিজে স্বীকার করেছেন যে, আমেরিকানরা কিছুটা ‘অর্থনৈতিক কষ্ট’ অনুভব করতে পারেন। তবে তিনি দাবি করেছেন, শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত দীর্ঘমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লাভজনক হবে।
এছাড়া, ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পণ্যের ওপরও শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন, যদিও তিনি ব্রিটেনের ওপর তৎক্ষণাৎ কোনো শুল্ক বসানোর কথা জানাননি। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা এর কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, যদি ট্রাম্প এমন পদক্ষেপ নেন, তারা পাল্টা শক্ত পদক্ষেপ নেবেন। ব্রাসেলসে ইইউর প্রধান কূটনীতিক কায়া কাল্লাস সোমবার বলেন, “আমেরিকার আমাদের প্রয়োজন, আমাদেরও আমেরিকার প্রয়োজন। তবে ট্রাম্প যদি বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করেন, তাতে কেউ জিতবে না।”
এটি ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফা শাসনের শুরুতেই শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়া হলো, যখন যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক বছরগুলোর সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পরবর্তী ধাক্কা সামলাচ্ছে। ওই দুর্ঘটনায় রাজধানীতে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার এবং যাত্রীবাহী বিমানের সংঘর্ষে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন।
এছাড়া, ট্রাম্প প্রশাসন সরকারী কার্যক্রমে ব্যাপক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। ধনকুবের ইলন মাস্ককে ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যার লক্ষ্য হলো সরকারি ব্যয় কমানো।
এসআর
মন্তব্য করুন: