লেবানন-সিরিয়া সীমান্তে ইসরাইলি বিমান হামলায় দুজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সূত্র জানায়, লেবাননের জানতা শহরের কাছে তুফাইল ও সিরিয়ার আসসাল আল-ওয়ার্দ সংযোগকারী সড়কে এই হামলা চালানো হয়।
এ রুটটি হিজবুল্লাহর অস্ত্র সরবরাহের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছিল বলে দাবি করা হয়েছে। সিরিয়ার যুদ্ধকালীন সময়ে হিজবুল্লাহ এই রাস্তা নির্মাণ করে, যা পরবর্তীতে লেবানন সরকার পাকা করে এবং সেখানে একটি নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করে।
হামলার ফলে সড়কের ওপর সাত মিটার গভীর ও ১০ মিটার প্রশস্ত গর্তের সৃষ্টি হয় এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এছাড়া, ইসরাইলি যুদ্ধবিমান লেবাননের ওয়াদি খালেদ সীমান্ত এলাকাতেও দুটি হামলা চালায়। এটি ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে চলমান উত্তেজনার সর্বশেষ ঘটনা। এর আগে, ইসরাইল বালবেক-হারমেল প্রদেশেও হামলা চালায়।
হিজবুল্লাহর সংসদ সদস্য ইব্রাহিম আল-মুসাব্বি এ হামলাকে যুদ্ধাপরাধ এবং পরিকল্পিত উসকানি হিসেবে অভিহিত করেছেন।
অন্যদিকে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, হামলা চালানো হয় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে।
ইসরাইলের মতে, এসব লক্ষ্যবস্তু হিজবুল্লাহর সামরিক স্থাপনা, যেখানে ভূগর্ভস্থ অবকাঠামো ব্যবহার করে অস্ত্র উৎপাদন ও উন্নয়ন করা হতো। এছাড়া, সিরিয়া-লেবানন সীমান্তে অস্ত্র পাচারের জন্য ব্যবহৃত কিছু স্থাপনাও ধ্বংস করা হয়েছে।
এদিকে, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি লেবাননের প্রতি তার দেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং দেশটির নিরাপত্তা ও পুনর্গঠনে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আহমেদ আবদেলাত্তি লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউনের কাছে পাঠানো এক বার্তায় এ প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বৈরুতে অবস্থানকালে ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাহিদ জালালজাদেহর সঙ্গেও বৈঠক করেন।
লেবাননে নতুন সরকার গঠনের ক্ষেত্রে হিজবুল্লাহর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। আবদেলাত্তি জানান, ফরাসি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে মিশরের কোম্পানিগুলো লেবাননের বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতে বিশেষজ্ঞ সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
এসআর
মন্তব্য করুন: