[email protected] শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
৬ বৈশাখ ১৪৩২

পাকিস্তানি তরুণের প্রেমে পড়ে বিপাকে মার্কিন নারী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ৯:২৪ পিএম

ফাইল ছবি

এক মার্কিন নারী, অনিজাহ অ্যান্ড্রু রবার্টসন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পাকিস্তানি তরুণ নিদাল আহমেদ মেননের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

বিয়ের প্রতিশ্রুতি পেয়ে তিনি নিউইয়র্ক থেকে পাকিস্তানের করাচিতে আসেন। তবে পরিবারিক চাপের কারণে তরুণ তার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসলে বিপদে পড়েন রবার্টসন। একপর্যায়ে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি পাকিস্তানে আটকে পড়েন।

পাকিস্তানের জিও টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৩ বছর বয়সী মার্কিন নাগরিক অনিজাহ রবার্টসন ১৯ বছর বয়সী নিদাল আহমেদ মেননের সঙ্গে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে সম্পর্ক গড়ে তুলেন। ৩০ দিনের জন্য বৈধ পর্যটক ভিসায় পাকিস্তানে আসার পর, দীর্ঘসময় প্রেমিকের সঙ্গে কাটাতে গিয়ে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়, যার ফলে তিনি পাকিস্তানে আটকা পড়েন।

রবার্টসনের প্রেমিক নিদাল আহমেদ মেনন করাচির গার্ডেন ওয়েস্ট এলাকার বাসিন্দা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং এক পর্যায়ে মেনন তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন, যা তাকে পাকিস্তানে আসার জন্য অনুপ্রাণিত করে। তবে, মেনন পরবর্তীতে তার পরিবারের চাপে বিয়ের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে যান, যার ফলে রবার্টসন বিপদে পড়েন।

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি পাকিস্তানের একটি বিমানবন্দরে যেতে চেষ্টা করেন, কিন্তু বৈধ টিকিট না থাকায় তাকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাহিনী টার্মিনালে প্রবেশ করতে দেয়নি। বাধ্য হয়ে তিনি বিমানবন্দরেই কাটিয়ে দেন সময়, এবং ঠান্ডা ও ফ্লুতে আক্রান্ত হন। এরপর জরুরি চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন তিনি।

পাকিস্তানের স্থানীয় পুলিশ মার্কিন দূতাবাসের কাছে বিষয়টি তুলে ধরে সাহায্য চাইলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে সিন্ধু প্রদেশের গভর্নর কামরান তেসোরি ওই নারীর দুর্দশার কথা শুনে তার দেশে ফেরার জন্য নতুন ভিসা ও টিকিট জারির ব্যবস্থা করেন।

পরবর্তীতে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় রবার্টসনকে দেশে ফিরে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করে। রবার্টসনের এই প্রেমের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে এবং ফেসবুক, টিকটক ও স্ন্যাপচ্যাটে বিদেশি নারীদের সঙ্গে গড়ে ওঠা প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানে বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে, যেখানে বিদেশি নারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গড়ে ওঠা প্রেমের সম্পর্কের কারণে পাকিস্তান সফর করেছেন এবং প্রেমিককে বিয়ে করেছেন। ২০২৩ সালের জুনে ৪৯ বছর বয়সী মেক্সিকান নারী পাকিস্তানে এসে ১৮ বছর বয়সী ইজাজ আলীকে বিয়ে করেন। তারা ফেসবুকের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হন। বিয়ের পর ইজাজ তার পরীক্ষার পর মেক্সিকো যাওয়ার পরিকল্পনা করেন।

এছাড়া, ২০১৮ সালের নভেম্বরে আমেরিকান নারী হেলেনা শিয়ালকোটের ২১ বছর বয়সী কাশিফকে বিয়ে করতে পাকিস্তানে আসেন। তাদের সম্পর্ক প্রথমে বন্ধুত্ব এবং পরে প্রেমে রূপ নেয়। হেলেনা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নতুন নাম রাখেন।

এভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে গড়ে ওঠা সম্পর্কগুলোর মাধ্যমে বিদেশি নারীরা পাকিস্তানে এসে প্রেমিকের সঙ্গে সংসার শুরু করেছেন, যা এক নতুন সামাজিক প্রবণতার জন্ম দিয়েছে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর