র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বিলুপ্ত করার সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সংস্থাটি তাদের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করে।
‘আফটার দ্য মুনসুন রেভুলিউশন: আ রোডম্যাপ টু লাস্টিং সিকিউরিটি সেক্টর রিফর্ম ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে র্যাবকে অভ্যন্তরীণ ‘ডেথ স্কোয়াড’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটি কী বলছে?
এইচআরডব্লিউ’র মতে, ২০০৪ সালে র্যাব গঠনের পর থেকে প্রতিটি সরকার এই বাহিনীকে দায়মুক্তির সঙ্গে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন ঘটনায় র্যাবকে সম্পৃক্ত হতে অনুপ্রাণিত করেছে।
সংস্থাটি বলেছে, র্যাব বিলুপ্ত করার পাশাপাশি এর সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে মানবাধিকার বিষয়ে সচেতন করা জরুরি। তাদের যাতে অন্য ইউনিটে গিয়ে একই ধরনের কার্যকলাপ চালানোর সুযোগ না থাকে, সেটি নিশ্চিত করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে কাঠামোগত সংস্কার না করা হলে, অতীতের কষ্টার্জিত অর্জন ব্যর্থ হতে পারে। বিশেষত, নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর রাজনৈতিক প্রভাব কমানো বর্তমান সরকারের জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
গুরুতর অভিযোগ ও পূর্বের পদক্ষেপ
২০০৪ সালে র্যাব গঠিত হয়। গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের সাতজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এছাড়া, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করা হয়।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, র্যাবের ভবিষ্যৎ নিয়ে এ সুপারিশ নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
র্যাবকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সমালোচনা বহু পুরোনো। তবে র্যাবের প্রয়োজনীয়তা ও সংস্কার নিয়ে দেশে নতুন করে আলোচনা শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: