আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আলোচনা নির্ধারিত সময়ের চেয়ে পিছিয়ে গেছে।
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের সভায় বিষয়টি ওঠার কথা থাকলেও তা পরিবর্তিত হয়ে আগামী ১২ মার্চ নির্ধারণ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আইএমএফের কার্যক্রম প্রায় এক মাস স্থগিত ছিল। এ কারণেই বোর্ড সভার সময়সূচিতে এই পরিবর্তন এসেছে।
এদিকে, চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের জন্য কিছু শর্ত পূরণের উপর জোর দিয়েছে আইএমএফ।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ের উন্নতি এবং বাজারে ডলারের মূল্য নির্ধারণে স্বচ্ছতা।
এনবিআরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, রাজস্ব আদায়ে ইতোমধ্যে কয়েকটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, ফলে তাদের দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই।
বাংলাদেশ এই ঋণ কর্মসূচির অধীনে ইতোমধ্যে তিনটি কিস্তি পেয়েছে। চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড় হওয়ার কথা রয়েছে।
এছাড়া, ৪৭০ কোটি ডলারের চলমান এই ঋণ কর্মসূচির আকার ৭৫ কোটি ডলার বাড়ানোর প্রস্তাবও করেছে বাংলাদেশ, যা আইএমএফ নীতিগতভাবে গ্রহণ করেছে। তবে কর আদায় বৃদ্ধি এবং নীতি-প্রণয়নকারী সংস্থাগুলোর কার্যক্রম আলাদা করার মতো কঠোর শর্ত দেওয়া হয়েছে।
আইএমএফের মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও গত ডিসেম্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, চতুর্থ কিস্তি ছাড়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছানো হয়েছে।
তবে কিছু শর্ত পূরণ এবং নির্বাহী পর্ষদের অনুমোদনের পরই এ অর্থ ছাড় করা হবে।
সরকার এই ঋণ কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
এসআর
মন্তব্য করুন: