যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বিরল এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার স্থানীয় সময় দুপুরে (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা)
কংগ্রেস ভবনের রোটুন্ডায় আনুষ্ঠানিক শপথ নেন তিনি। একইসঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন জেডি ভ্যান্স।
শপথ গ্রহণের পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেন, “ঈশ্বর আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে। শিগগিরই দেশে বড় পরিবর্তন আসবে।” তিনি আরও জানান, মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে জরুরি অবস্থার ঘোষণা সোমবারই দেওয়া হবে।
শপথ গ্রহণ উপলক্ষে পুরো ওয়াশিংটন ছিল সাজসাজ রব। কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয় শহর। প্রায় ২৫ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।
তীব্র ঠান্ডার কারণে এবার অভিষেক অনুষ্ঠান কংগ্রেস ভবনের ভেতরে আয়োজন করা হয়। এতে অতিথিদের সংখ্যা সীমিত থাকলেও ন্যাশনাল মলে স্থাপন করা বড় স্ক্রিনে সাধারণ মানুষ অনুষ্ঠান সরাসরি উপভোগ করেন।
শপথের পর ট্রাম্প একটি জমকালো প্যারেডে অংশ নিয়ে ক্যাপিটল থেকে হোয়াইট হাউজে যান। এ সময় ক্যাপিটল রোটুন্ডায় তার সম্মানে একটি কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়।
ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে প্রযুক্তি দুনিয়ার শীর্ষ ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতি ছিল বিশেষ চমক। ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস, মার্ক জাকারবার্গ এবং টিকটকের সিইও শৌ চিউ ভিআইপি আসনে ছিলেন। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং বারাক ওবামাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তবে মিশেল ওবামা এই আয়োজনে যোগ দেননি।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ট্রাম্প এই শপথ অনুষ্ঠানে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো থেকে বিরত থাকলেও ইতালি, হাঙ্গেরি, আর্জেন্টিনা এবং চীনের শীর্ষ নেতাদের বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানান। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ না জানানো নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে নানা আলোচনা চলছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিয়ে এক বিরল ইতিহাস গড়লেন। ১২০ বছরের মধ্যে তিনিই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি নির্বাচনে পরাজয়ের পর আবারও হোয়াইট হাউজে ফিরে এলেন।
এর আগে ১৯৮৫ সালে রোনাল্ড রিগ্যানও তীব্র ঠান্ডার কারণে কংগ্রেস ভবনের ভেতরে শপথ নিয়েছিলেন।
ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের এ আয়োজন শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, পুরো বিশ্বজুড়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: