২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ১ শতাংশে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।।
অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য সংকটের ইঙ্গিত দিয়ে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস’ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক বাণিজ্যে মন্দা, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি, এবং ঋণসেবা খাতে চাপ এই প্রবৃদ্ধি হ্রাসের প্রধান কারণ।
কোভিড-১৯ মহামারি-পরবর্তী পরিস্থিতি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রধান চালিকাশক্তি তৈরি পোশাকশিল্প ক্রেতা কমে যাওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় ক্রেতাদের চাহিদা হ্রাসের কারণে রপ্তানি আয় কমে গেছে। অন্যদিকে, মূল্যস্ফীতি ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস করেছে এবং টাকার অবমূল্যায়ন আমদানি ব্যয় বাড়িয়েছে।
এছাড়া, রাজস্ব ঘাটতি বাজেট বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করছে। অবকাঠামো উন্নয়ন ও সামাজিক সুরক্ষায় সরকারি বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় গ্রামীণ অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠী চরম সংকটে রয়েছে।
বাংলাদেশের বর্তমান সংকট উত্তরণে বিশ্বব্যাংক বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে, যেমন:
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইন্দরমিত গিল বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনীতি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে নীতিনির্ধারকদের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকার ইতোমধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং রাজস্ব বাড়ানোর জন্য কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। তবে সংকট মোকাবিলায় স্বল্পমেয়াদে আরও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।”
সরকারের কার্যকর উদ্যোগ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এই সংকট কাটিয়ে উঠতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এসআর
মন্তব্য করুন: