[email protected] শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
২৮ চৈত্র ১৪৩১

‘সেনা প্রত্যাহারে ইসরাইলকে চাপ দিন’, যুক্তরাষ্ট্রকে সিরিয়ার নতুন নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৫০ এএম

ফাইল  ছবি

বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে ইসরাইল সিরিয়ার সামরিক সম্পদের ওপর একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে।

এছাড়া, বাফার জোনে সেনা অবস্থান রেখে আন্তর্জাতিক আইনও লঙ্ঘন করেছে তেল আবিব। তবে, ইসরাইল দাবি করছে যে, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে সিরিয়ার সামরিক অস্ত্র শত্রুদের হাতে পড়া থেকে রোধ করা।

এমন পরিস্থিতিতে সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের প্রধান আহমেদ আল-শারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইসরাইলকে সীমান্ত থেকে বাফার জোন এবং মাউন্ট হারম্যান থেকে সেনা প্রত্যাহার করার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে বলেছেন। ইসরাইলের কান টিভি সূত্রে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।

ইসরাইলি কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পাননি এবং তাদের দাবি, সীমান্তে এবং এর আশপাশে সামরিক উপস্থিতি ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয়।

অসমর্থিত সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, বিদ্রোহী নেতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সিরিয়া পুনর্গঠনে মানবিক সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ইসরাইল সিরিয়ার প্রতিরক্ষা ও বৈজ্ঞানিক কেন্দ্র লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। এটি বাশার আল-আসাদের উৎখাতের পর সিরিয়া ভূখণ্ডে ইসরাইলের সর্বশেষ হামলা।

শাম এফএম রেডিও স্টেশনের মতে, আলেপ্পোর কাছাকাছি আল-সাফিরাহ শহরের কাছে একটি প্রতিরক্ষা কেন্দ্র এবং একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্রে হামলা হয়েছে। হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।

আল-সাফিরাহ এলাকার একজন বাসিন্দা এএফপিকে জানান, ইসরাইলের হামলা খুবই শক্তিশালী ছিল, যা পাঁচটি আঘাতসহ একটি প্রতিরক্ষা কারখানায় আঘাত করেছে। এর ফলে মাটি কেঁপে উঠেছিল এবং জানালা ও দরজা ভেঙে পড়েছিল। হামলার তীব্রতা এতটাই ছিল যে, রাতকে দিনের মতো মনে হচ্ছিল।

সিরিয়ায় ইসরাইলের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে রয়েছে রাসায়নিক অস্ত্রের স্থাপনা, ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো।

গত মাসে, আহমেদ আল-শারা মন্তব্য করেছিলেন যে, সিরিয়ায় বিমান হামলা চালানোর জন্য ইসরাইলের আর কোনো অজুহাত থাকতে পারে না। তার মতে, সিরিয়ার মাটিতে ইসরাইলের হামলা লাল রেখা অতিক্রম করেছে এবং এতে এই অঞ্চলে অযৌক্তিক উত্তেজনা বাড়ানোর ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর