দেশব্যাপী উদ্যোক্তা তৈরি এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে আরও প্রসারিত করার জন্য উপজেলা পর্যায়ে বাণিজ্য মেলা আয়োজনের পরামর্শ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার, পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিসিএফসি) ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে বলেন, "মানুষ মাত্রই উদ্যোক্তা, এবং তাদের কাজ হলো নিজের চিন্তা-চেতনায় কাজ করা। বাণিজ্য মেলা উদ্যোক্তাদের উদ্যোগ এবং সৃজনশীলতাকে সবার সামনে তুলে ধরার একটি সুযোগ প্রদান করে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।" তিনি বলেন, "নতুন নতুন পণ্য উদ্ভাবন করে দেশের রফতানি আরও সমৃদ্ধ করতে হবে, আর এর জন্য ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে। পণ্যের পাশাপাশি সেবা খাতেও গুরুত্ব দিতে হবে।"
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, এবারের বাণিজ্য মেলায় ৭টি দেশের ১১টি প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৩৬২টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন রয়েছে। এছাড়া, প্রতিবছর একটি বিশেষ পণ্যকে 'প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার' বা বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়, এবং এ বছর ফার্নিচারকে বর্ষপণ্য হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, "প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ারের পাশাপাশি, এন্ট্রাপ্রেনিউর অব দ্য ইয়ারকেও পরিচিত করতে হবে। পণ্য ছাড়া উদ্যোক্তাদেরও সম্মান জানানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
মেলায় প্রবেশের জন্য এই বছর ই-টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে, এবং বিশেষভাবে উপকারি হবে বিআরটিসি ডেডিকেটেড বাস সার্ভিস ও উবারের বিশেষ ছাড়ে সার্ভিস। এছাড়া, বিদেশি উদ্যোক্তা এবং প্রতিষ্ঠানের সুবিধার্থে বিশেষ সোর্সিং কর্নার, ইলেকট্রনিক্স ও ফার্নিচার জোনও থাকবে।
মেলায় এবার নতুন কিছু উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে সম্ভাবনাময় সেক্টর বা পণ্যভিত্তিক সেমিনার আয়োজন, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সিটিং কর্নার এবং শিশুদের জন্য একটি বিশেষ শিশু পার্ক তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আত্মত্যাগকারীদের সম্মানার্থে 'জুলাই চত্বর' ও 'ছত্রিশ চত্বর' তৈরি করা হয়েছে। তরুণদের রফতানি বাণিজ্যে উদ্বুদ্ধ করতে 'ইয়ুথ প্যাভিলিয়ন'ও স্থাপন করা হয়েছে।
মেলা মাসব্যাপী সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে, এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: