ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) নিশ্চিত করেছে যে, হামাসের নুকবা প্লাটুনের কমান্ডার আবদ আল হাদি সাবাহকে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানায়, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস অঞ্চলে সাবাহকে হত্যা করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের কিবুতজ নির ওজে হামলা চালানোর জন্য দায়ী ছিলেন আবদ আল হাদি।
আইডিএফ তাদের এক্স পেজে জানিয়েছে, "আইডিএফ ও আইএসএ (ইসরাইল সিকিউরিটি অ্যাজেন্সি) গোয়েন্দাভিত্তিক হামলায় নুকবা প্লাটুন কমান্ডার আবদ আল হাদি সাবাহকে হত্যা করা হয়েছে।" তারা আরও জানিয়েছে, "সাবাহ খান ইউনিসের একটি শরণার্থী শিবির থেকে তার কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। তিনি ৭ অক্টোবরের গণহত্যায় অন্যতম নেতা ছিলেন এবং আইডিএফ সেনাদের ওপর একাধিক সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনাকারী ছিলেন।"
এদিকে, একই দিনে আইডিএফ ও শিন বেটের যৌথ অভিযানে প্যালেস্টিনিয়ান ইসলামিক জিহাদ গ্রুপের রকেট ইউনিটের নর্দান সেক্টরের কমান্ডার আনাস মুহাম্মদ সাদি মাসরির হত্যার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়েছে। মাসরি ছিলেন ইসরাইলি বেসামরিক মানুষ ও আইডিএফ সেনাদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে হামলা চালানো একটি সংগঠনের নেতা। তিনি ৭ অক্টোবরের পর উত্তর গাজা থেকে ইসরাইলি সীমান্তে রকেট হামলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
এছাড়া, আইডিএফ জানায়, গত মাসে গাজায় পরিচালিত এক অভিযানে ১৪ হামাস 'সন্ত্রাসী'কে হত্যা করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৬ জন ৭ অক্টোবরের গণহত্যায় অংশ নিয়েছিলেন।
৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণে ইসরাইলের ১,২০০ মানুষ নিহত এবং ২০০ মানুষ বন্দি হয়, যার মধ্যে ১০০ জন এখনও বন্দি রয়েছে। ইসরাইলের পাল্টা আক্রমণে গাজায় ৪৫ হাজার প্রাণহানি ঘটে। এই যুদ্ধ পরবর্তীতে আরও তীব্র হয়ে ওঠে, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী ও লেবাননের হেজবুল্লাহর অংশগ্রহণে, যাদেরকে ইসরাইল ইরানের প্রক্সি হিসেবে সন্দেহ করছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: