গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এ সময় আরও ৯৮ জন আহত হন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানানো হয়।
গত ১৫ মাস ধরে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজায় অভিযান পরিচালনা করে আসছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বৃহস্পতি-শুক্রবারের অভিযানে গাজায় নিহতের মোট সংখ্যা বেড়ে ৪৫,৪৩৬-এ পৌঁছেছে। পাশাপাশি, আহতের সংখ্যা এক লাখ ৮ হাজার ৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেকেই ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছেন। উদ্ধারকাজে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জনবল না থাকায় তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, গাজার শাসক গোষ্ঠী হামাস ইসরাইলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায়। হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলি সীমান্তে প্রবেশ করে প্রথমে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১,২০০ জনকে হত্যা করে এবং পরে ২৪২ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। এর পরই ইসরাইলি বাহিনী গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে, যা এখনও চলছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর না করা এবং জিম্মিদের মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত গাজার বিরুদ্ধে অভিযান চলতে থাকবে। জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে ইসরাইলকে গাজার সামরিক অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানানো হলেও, নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া, ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: