[email protected] শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
১৪ পৌষ ১৪৩১

আইএমএফের শর্তপূরণে অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ২:২৩ এএম

ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত পূরণের ফলে দেশের অর্থনীতি একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।

ঋণের সুদহার বৃদ্ধি, জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয়, খেলাপি ঋণের সংজ্ঞা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণ, ডলারের মূল্য বৃদ্ধি, এবং সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণের কারণে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।

উদ্যোক্তারা ইতোমধ্যে এই প্রভাব নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। 

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আইএমএফের অনুমোদিত ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় ইতোমধ্যে তিনটি কিস্তিতে ২৩০ কোটি ৭০ লাখ ডলার ছাড় হয়েছে। চতুর্থ কিস্তির ৬৪ কোটি ডলার ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ছাড় হওয়ার কথা। শর্তপূরণের অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য গত ৩ থেকে ১৮ ডিসেম্বর একটি আইএমএফ মিশন বাংলাদেশ সফর করেছে এবং নতুন কিছু শর্ত আরোপ করেছে।

এসব শর্ত বাস্তবায়নের ফলে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি গ্রহণ করা হয়েছে, যার ফলে বাজারে টাকার প্রবাহ কমে গেছে। ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২ থেকে ১৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এতে বিনিয়োগ কমছে এবং নতুন শিল্প স্থাপন বা বিদ্যমান শিল্প সম্প্রসারণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি কমে গেছে।

সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণ করেও মূল্যস্ফীতি কমানো যায়নি। বরং মূল্যস্ফীতির হার ২০২২ সালের ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ১১.৩৮ শতাংশে পৌঁছেছে। এতে সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীরা উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রবাহ ১৬ থেকে ১৭ শতাংশ থেকে কমে বর্তমানে ৯ শতাংশে নেমে এসেছে। গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহের হার দশমিক ৯১ শতাংশে নেমে এসেছে।

জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ খাতের সংকট

আইএমএফের শর্তে গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়লেও জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা কমেছে। তবে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীরা এর সুফল পাচ্ছেন না। গণপরিবহনের ভাড়া কমেনি এবং ব্যবসায় খরচ বেড়েছে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, জ্বালানি উপকরণের দাম আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করলে আমাদের বাজার এটি নিতে পারে না।

কারণ এখানে সে অবকাঠামো নেই। এটি করতে হলে আগে অবকাঠামো করতে হবে। নীতি প্রণয়ন করতে হবে। সেটি নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের সচেতন করতে হবে। তারপর এটি কার্যকর করলে সুফল মিলবে। এর আগে নয়।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর