গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির জন্য মিশরের নতুন প্রস্তাব

গাজায় ১৪ মাস ধরে চলমান হামাস-ইসরাইলের মধ্যে সংঘর্ষের মাঝে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির জন্য নতুন প্রস্তাব দিয়েছে মিশর।

এক ইসরাইলি কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার টাইমস অফ ইসরাইলকে জানিয়েছেন, মিশরের মাধ্যমে মধ্যস্থতাকারীরা একটি চুক্তি সই করতে তৎপরতা শুরু করেছে।

মিশর হামাসকে জিম্মি চুক্তি নিয়ে একটি প্রস্তাব দিয়েছে। ইসরাইলি কর্মকর্তার মতে, এটি কায়রোর প্রস্তাব, এবং ইসরাইল আলোচনার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। এই প্রস্তাবের মাধ্যমে যুদ্ধের অবসান আশা করা না হলেও, একটি বর্ধিত যুদ্ধবিরতির উদ্দেশ্য রয়েছে, যাতে বয়স্ক, শিশু, নারী, অসুস্থ এবং গুরুতরভাবে আহত জিম্মিদের মুক্তির সুযোগ সৃষ্টি হবে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলা শুরু হওয়ার পর, এ পর্যন্ত ৪৪ হাজার ৫৮০ জন নিহত এবং ১ লাখ ৫ হাজার ৭৩৯ জন আহত হয়েছেন।

এদিকে, টাইমস অব ইসরাইল সূত্র জানিয়েছে, কাতার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির আলোচনা পুনরায় শুরু করছে। এই সূত্র অনুসারে, নভেম্বরের শেষদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের মনোনীত মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানির সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেছেন।

এছাড়া, আগামী জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজে ক্ষমতায় আসার আগে, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জানুয়ারির আগে জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। ট্রাম্প সম্প্রতি তার সামাজিক মিডিয়া অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, “২০ জানুয়ারির আগে জিম্মিদের মুক্তি না দিলে, মধ্যপ্রাচ্যে চরম মূল্য দিতে হবে। যারা এই মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এখনই বন্দিদের মুক্তি দিন!”

মিশরের এই নতুন প্রস্তাব ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তৎপরতা, গাজা পরিস্থিতি শান্ত করতে এবং মানবিক সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।