[email protected] রবিবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫
২২ পৌষ ১৪৩১

চলতি বছরে দুই লাখ ভিসা দেবে জার্মানি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ৫:৫৭ পিএম

ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জার্মানিতে তীব্র কর্মী সংকটের ফলে দেশের অর্থনীতি কিছুটা স্থবির হয়ে পড়েছে।

 দীর্ঘদিন ধরে চলা এই সংকট মোকাবিলায় এবার বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে বার্লিন, যার ফলে লাখ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী ইউরোপে প্রবেশের সুযোগ পেতে পারেন।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্মী সংকট কাটানোর লক্ষ্যে চলতি বছরের শেষে পর্যন্ত অতিরিক্ত ২ লাখ দক্ষ কর্মীকে ভিসা প্রদান করবে দেশটি। জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজার জানান, দক্ষ তরুণরা এখন আরও সহজে জার্মানিতে তাদের প্রশিক্ষণ ও পড়াশোনা শেষ করতে পারবেন, এবং দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মীরা খুব দ্রুত জার্মানিতে কাজ খুঁজে নিতে পারবেন।

২০২৩ সালে জার্মানি ১ লক্ষ ৭৭ হাজার পেশাদার ভিসা ইস্যু করেছিল, কিন্তু চলতি বছর সেই সংখ্যা ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দুই লাখে উন্নীত করা হয়েছে। ভিসা সম্পর্কিত নিয়মকানুন শিথিল করার মাধ্যমে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদি কর্মী সংকট মোকাবিলায় সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বর্তমানে জার্মানিতে প্রায় ১৩ লাখ ৪০ হাজার পদ খালি রয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, যদি এই কর্মী ঘাটতি না থাকতো, তাহলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও উচ্চমানের হতে পারতো। গত পাঁচ বছরে জার্মানিতে ১৬ লাখ নতুন চাকরি তৈরি হয়েছে, যার মধ্যে ৮৯ শতাংশ চাকরি পেয়েছেন বিদেশি কর্মীরা।

জার্মানি এখন পয়েন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য এক বছরের ভিসা প্রদান করবে, যেখানে ভাষার দক্ষতা, পেশাগত অভিজ্ঞতা এবং কম বয়সের ভিত্তিতে তাদের মূল্যায়ন করা হবে। এর জন্য জার্মান সরকার 'অপরচুনিটি কার্ড' চালু করেছে, যা পেশাজীবী ও বিশ্ববিদ্যালয় পাস করা শিক্ষার্থীদের জার্মানিতে পড়াশোনা ও চাকরি খোঁজার সুযোগ বাড়িয়েছে। এই কার্ডের মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশের নাগরিকরাও সরাসরি জার্মানিতে কাজের সুযোগ পাবে, যদি তারা প্রয়োজনীয় যোগ্যতা পূর্ণ করে।

এছাড়া, জার্মান সরকার শিক্ষার্থী ভিসার সংখ্যাও বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী ২০২৫ সালে শিক্ষার্থী ভিসার সংখ্যা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে, এবং ভবিষ্যতে তা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

এ পদক্ষেপগুলো জার্মানির শ্রম বাজারে প্রয়োজনীয় কর্মী যোগানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে, যা দেশটির অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর