[email protected] শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
২৮ চৈত্র ১৪৩১

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে কি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চাপে পড়বে?

প্রতিদিনের বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২৪ ৮:৫৪ এএম

ফাইল ছবি

মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে বাংলাদেশে আলোচনা ও আগ্রহ তুঙ্গে।

বিশেষত, সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে তার সাম্প্রতিক মন্তব্যে বিষয়টি নতুন মাত্রা পেয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার চাপে পড়তে পারে কি না।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন এখন বদলে যাওয়ার পথে। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আসা অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার কার্যক্রম ও নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছে।

ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত সরকারকে শুরু থেকে সমর্থন দিয়ে আসছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। বিশ্লেষকদের মতে, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট হলে এই সমর্থন অব্যাহত থাকবে।

তবে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হলে সেই সমর্থন বজায় থাকবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

কূটনীতিকরা মনে করেন, ট্রাম্প নির্বাচিত হলেও বাংলাদেশে অতিরিক্ত হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা কম।

তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রভাব থাকতে পারে।

মোদি, যিনি বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম কৌশলগত অংশীদার, বাংলাদেশ সম্পর্কিত বিষয়ে ট্রাম্পকে প্রভাবিত করতে চাইতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করার আশঙ্কা তেমন নেই।

ট্রাম্প বনাম কমলা হ্যারিস: মার্কিন নীতির প্রভাব

সাবেক কূটনীতিক সাকিব আলি বলেন, "কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট হলে বর্তমান বাইডেন প্রশাসনের নীতির ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।

তিনি ডেমোক্র্যাটদের নীতিই অনুসরণ করবেন। অন্যদিকে, ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং অভিবাসন নীতিতে পরিবর্তন আসতে পারে। অভিবাসন নীতিতে পরিবর্তনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বাংলাদেশি অভিবাসীদের সমস্যা হতে পারে।

এছাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী সহায়তার তহবিল প্রাপ্তিতেও প্রভাব পড়তে পারে।"

ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য ও বাংলাদেশে প্রতিক্রিয়া

ট্রাম্প সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তবে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ূন কবির মনে করেন, এটি মূলত মার্কিন অভ্যন্তরীণ রাজনীতির একটি অংশ।

মার্কিন নির্বাচনে ভারতীয় অভিবাসীদের ভোট টানার উদ্দেশ্যেই ট্রাম্প এই ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন বলে তার ধারণা।

মোদি ফ্যাক্টর ও বাংলাদেশ

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প নির্বাচিত হলে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রভাব বাংলাদেশের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) মো. শহীদুল হক বলেন, “ট্রাম্প জিতলে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ক্ষেত্রে মোদির প্রভাব থাকতে পারে। বর্তমান সরকারকে কূটনৈতিকভাবে সক্রিয় থাকতে হবে।”

সার্বিকভাবে, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলেও বাংলাদেশ ও মার্কিন সম্পর্কের অগ্রগতিতে স্বাভাবিকভাবেই কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।

তবে বাংলাদেশের কৌশলগত ও কূটনৈতিক অবস্থান বজায় রেখে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার প্রস্তুতি নিতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর