প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরব আমেরিকান ও মুসলিম ভোটারদের সমর্থন পাওয়ার জন্য নতুন প্রচেষ্টায় নেমেছেন।
ইসরাইল ও গাজা নিয়ে বর্তমান মার্কিন নীতিতে ক্ষুব্ধ এসব ভোটারদের আকৃষ্ট করতে শনিবার (২৭ অক্টোবর) মিশিগানের ডেট্রয়েট শহরতলিতে অনুষ্ঠিত এক প্রচার সমাবেশে কয়েকজন মুসলিম নেতাকে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানান তিনি।
এই খবরটি নিশ্চিত করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
ডিয়ারবর্ন শহরের কাছাকাছি অনুষ্ঠিত সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, মুসলিম ভোটাররা নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দিতে পারে। ডিয়ারবর্নকে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম আরব সংখ্যাগরিষ্ঠ শহর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল।
সমাবেশে ট্রাম্প জানান, তিনি এদিন মিশিগানের মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এদের মধ্যে একজন, ইমাম বিলাল আলজুহাইরি, ট্রাম্পকে শান্তির প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, "আমরা মুসলিমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আছি, কারণ তিনি শান্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—যুদ্ধের নয়।"
আলজুহাইরি আরও বলেন, "ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করছি কারণ তিনি মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেনের যুদ্ধের অবসান ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।"
মুসলিম সমর্থন টানতে ট্রাম্প গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের পদক্ষেপের সমালোচনাও করেন। তিনি বলেন, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সামরিক বাহিনীকে দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে।
ট্রাম্প এসময় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকেও ইসরাইলের প্রতি যথেষ্ট সমর্থন না দেওয়ার জন্য সমালোচনা করেন।
তবে এ ধরনের অবস্থান ট্রাম্পের অতীত নীতির সাথে বৈপরীত্যপূর্ণ, কারণ তিনি ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে সাতটি মুসলিম-প্রধান দেশের নাগরিকদের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। কিন্তু ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ওই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করেন।
ট্রাম্পের প্রচার শিবির বিশ্বাস করে, গাজা যুদ্ধ ও সাম্প্রতিক লেবাননে ইসরাইলি অভিযানের ফলে আরব আমেরিকান ও মুসলিম ভোটারদের ক্ষোভ কাজে লাগিয়ে তারা সমর্থন অর্জন করতে পারবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: