[email protected] মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
২ পৌষ ১৪৩২

এক মাস চায়ে চিনি না খেলে শরীরে কী হয়?

প্রতিদিনের বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:৪৬ পিএম

চায়ের সঙ্গে চিনি খাওয়া অনেকেরই অভ্যাস। কেউ স্বাদ

বাড়ানোর জন্য, কেউ আবার অভ্যাসের টানে প্রতিদিনই চিনি মেশানো চা পান করেন। কিন্তু যদি হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে এক মাস চায়ে চিনি না খান, তখন শরীরে যে পরিবর্তনগুলো ঘটে, তা অনেকেরই ধারণার বাইরে।

শুরুর কয়েক দিন: শরীরের ‘অ্যাডজাস্টমেন্ট’ পিরিয়ড

চা থেকে চিনি বাদ দেওয়ার পর প্রথম সপ্তাহটি সাধারণত সবচেয়ে কঠিন লাগে। কারণ জিহ্বা ও মস্তিষ্ক দুটোই দ্রুত গ্লুকোজ পেতে অভ্যস্ত। তাই অনেকের মাথা ব্যথা, ঝিমুনি, শক্তি কমে যাওয়া বা মিষ্টির প্রতি প্রবল আকর্ষণ তৈরি হতে পারে। এটি আসলে শর্করার ওপর শরীরের নির্ভরশীলতার স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া।

দুই সপ্তাহ পর: স্বাদের পরিবর্তন

চিনি ছাড়া চা পান করতে করতে দুই সপ্তাহ পর বোঝা যায়—চায়ের আসল স্বাদ কী। তখন দুধ, লিকার বা খাদ্যের স্বাভাবিক মিষ্টতা অনেক বেশি অনুভব হয়। মস্তিষ্কের চিনির প্রতি আগ্রহও ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

এক মাস পরে যে পরিবর্তনগুলো স্পষ্ট হয়

১) ওজন কমার সম্ভাবনা

চিনির খালি ক্যালোরি কমে যাওয়ায় ওজন কিছুটা নামতে পারে। বিশেষ করে পেট ও কোমরের বাড়তি মেদ কমতে শুরু করে।

২) ত্বকের অবস্থার উন্নতি

চিনি শরীরে প্রদাহ বাড়ায়, যার প্রভাব পড়ে ত্বকে। নিয়মিত চিনি কমালে মুখের ত্বকে লালচে ভাব, র‌্যাশ বা ব্রণ কমে এবং ত্বক স্বাভাবিকভাবে সতেজ দেখায়।

৩) হৃদযন্ত্র ও লিভারের জন্য উপকারি

অতিরিক্ত চিনি খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং লিভারে ফ্যাট জমার ঝুঁকি তৈরি করে। চিনি নিয়ন্ত্রণ করলে হার্টের ঝুঁকি কমে এবং ফ্যাটি লিভারের সম্ভাবনাও হ্রাস পায়।

শেষে যা হয়—অভ্যাস বদলে যায়

এক মাস চিনি ছাড়া চা খেলে বেশিরভাগ মানুষই আর আগের মতো মিষ্টি চা পান করতে চান না। কারণ শরীর ও মস্তিষ্ক স্বাভাবিক স্বাদের সাথে মানিয়ে যায় এবং চিনির ওপর নির্ভরশীলতা কমে যায়। এই ছোট্ট পরিবর্তন সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য বড় উপকার বয়ে আনতে পারে।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর