[email protected] বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
৩ পৌষ ১৪৩২

শিশুর হাতে স্মার্টফোন দিচ্ছেন? জেনে নিন কী ক্ষতি হয়

প্রতিদিনের বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:১৬ পিএম

আজকাল ছোট বয়সেই অনেক শিশুর হাতে স্মার্টফোন দেওয়া হয়।

যদিও যোগাযোগ বা নিরাপত্তার জন্য এটি কিছু ক্ষেত্রে উপকারী, বিজ্ঞান বলছে— অল্প বয়সে স্মার্টফোন দেওয়া শিশুর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক বিকাশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

১২ বছরের আগে স্মার্টফোন দিলে যেসব সমস্যা বাড়ে

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে—

১) স্থূলতা (মোটা হয়ে যাওয়া) বাড়ে

যারা ১২ বছর বয়সে বা তার আগেই স্মার্টফোন ব্যবহার শুরু করে, তারা
৪০% বেশি হারে স্থূলতার ঝুঁকিতে থাকে।

কারণ:

ফোনে গেম, ভিডিও, সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটিয়ে শারীরিক কার্যকলাপ কমে যায়

বসে থাকার সময় বেড়ে যায়

স্ক্রিন দেখার সময় খাবার খাওয়ার অভ্যাস বাড়ে

চিনি–যুক্ত খাবার/পানীয় বেশি গ্রহণ করে


গবেষণায় দেখা গেছে:
১২ বছর বয়সী স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের স্থূলতা ১৮% — আর যারা ব্যবহার করে না, তাদের মাত্র ১২%।


২) বিষণ্ণতা (ডিপ্রেশন) বাড়ে

১২ বছরের আগে স্মার্টফোন ব্যবহার শুরু করা শিশুদের মধ্যে বিষণ্ণতার হার ৩০% বেশি।

১২ বছর বয়সে:

ফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৬.৫% বিষণ্ণ

যারা ফোন ব্যবহার করে না তাদের মাত্র ৪.৫%


কারণগুলো:

সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্যদের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করা

সাইবার বুলিং

বন্ধুদের আলোচনা থেকে বিচ্ছিন্ন বোধ করা


৩) ঘুমের সমস্যা

১২ বছরের আগে স্মার্টফোন পাওয়া শিশুদের ৬০% বেশি ঘুমের ব্যাঘাত দেখা যায়।

কারণ:

ঘুমানোর আগে স্ক্রিন দেখা

স্ক্রিনের নীল আলো মেলাটোনিন কমায় (যা ঘুমের হরমোন)

নোটিফিকেশন, ভিডিও দেখা— ঘুম বিলম্বিত হয়


ঘুম কম হলে:

মানসিক চাপ বাড়ে

ওজন বাড়ে

মনোযোগ কমে

কেন ১২ বছর বয়স গুরুত্বপূর্ণ?

গবেষণা বলছে—

১২ বছর বয়সে শিশুর মস্তিষ্ক ও হরমোন দ্রুত পরিবর্তন হয়

আবেগ নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক সম্পর্ক, আত্মসম্মান— এসব গড়ে ওঠে

সোশ্যাল মিডিয়া বা অনলাইন প্রতিক্রিয়ার প্রতি শিশুর সংবেদনশীলতা বেশি থাকে
তাই এই বয়সে স্মার্টফোন ব্যবহার মানসিক প্রভাব বেশি ফেলতে পারে।

 

 

 

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর