দিনের শেষে শরীর–মনের চাপ কমাতে পুদিনা চা অনেকের প্রিয়।
এর সতেজ ঘ্রাণ ও শীতল স্বাদ শরীরকে হালকা ও স্বস্তিদায়ক করে তোলে। ঘরে সহজেই বানানো যায় বলে এটি প্রতিদিনের রুটিনেও সহজে রাখা যায়। যদি টানা এক মাস রাতের বেলা পুদিনা চা পান করেন, শরীরে বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা সম্ভব। যেমন—
১. হজমে আরাম দেয়
পুদিনা পাতার অ্যান্টিস্পাসমোডিক উপাদান অন্ত্রের পেশি শিথিল করে, ফলে গ্যাস, ফোলাভাব বা বদহজমের মতো অস্বস্তি কমতে পারে। অনিয়মিত বা ভারী রাতের খাবারের পর এটি বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে।
২. ঘুমের মান উন্নত করে
পুদিনা স্বভাবতই ক্যাফেইনমুক্ত, আর এতে থাকা মেন্থল মনকে স্থির ও শান্ত রাখতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমানোর আগে এই উষ্ণ পানীয় শরীরকে বিশ্রামের জন্য প্রস্তুত করে, যা নিয়মিত পান করলে ঘুমের গুণগত মান বাড়াতে পারে।
৩. নাক বন্ধভাব ও শ্বাসকষ্ট কমায়
মেন্থল শ্বাসনালিকে কিছুটা খুলে দিতে পারে এবং শ্লেষ্মা কমাতেও সহায়তা করে। যাদের রাতে সর্দি বা অ্যালার্জির কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হয়, তাদের জন্য এটি আরামদায়ক হতে পারে। এক মাস পর শ্বাস নেওয়াতে হালকা স্বস্তি অনুভূত হতে পারে।
৪. মুখের দুর্গন্ধ কমায়
পুদিনায় থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী জীবাণু হ্রাস করতে পারে। ঘুমানোর আগে এটি পান করলে সকালে মুখে সতেজভাব অনুভব করা সাধারণ ব্যাপার।
৫. চাপ কমাতে সহায়ক
পুদিনার সুবাস স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করতে ভূমিকা রাখে। রাতে নিয়মিত পুদিনা চা পান করলে সারাদিনের মানসিক চাপ কিছুটা লাঘব হতে পারে, ফলে মনের প্রশান্তি বাড়ে।
এসআর
মন্তব্য করুন: