রান্নাঘরে খুব পরিচিত হলেও আদার উপকারিতা অনেক সময়
অগোচরেই থেকে যায়। শুধু সর্দি-কাশির সময় নয়, নিয়মিত আদা পানি শরীরের নানা সমস্যায় স্বাভাবিকভাবে সাহায্য করতে পারে। বিশেষ করে রাতে এক কাপ হালকা গরম আদা পানি শরীরকে শান্ত ও আরামদায়ক অনুভূতি দেয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক—এই অভ্যাসে শরীরের ভেতরে কী কী ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যেতে পারে।
১. হজম প্রক্রিয়া সক্রিয় রাখে
আদায় থাকা জিঞ্জেরল নামের উপাদান হজমকারী এনজাইমকে সক্রিয় করতে সাহায্য করে। এতে খাবার দ্রুত হজম হয়, গ্যাসের সমস্যা কমে এবং সকালে পেট ফাঁপার প্রবণতা হ্রাস পায়। নিয়মিত পান করলে অন্ত্রের প্রদাহও ধীরে ধীরে কমতে পারে।
২. শরীরের প্রদাহ কমাতে সহায়ক
দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা, অনিয়মিত খাবার বা অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে দেহে যে প্রদাহ তৈরি হয়, আদা সেই অস্বস্তি কিছুটা হালকা করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, আদা পেশীর চাপ কমানো, হালকা ব্যথা উপশম করা এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাসে ভূমিকা রাখতে পারে। নিয়মিত গ্রহণ করলে শরীরের স্বাভাবিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া আরও মসৃণ হয়।
৩. প্রতিরোধশক্তি সজীব রাখে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আদা শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে শক্তিশালী হতে সহায়তা করে। নিয়মিত আদা পানি পান করলে গলা খুসখুস কমে, ঠান্ডা লাগার প্রথম দিককার অস্বস্তি হ্রাস পায় এবং ঋতু পরিবর্তনের সময় কিছুটা সুরক্ষা দেয়। তবে এটি কোনোভাবেই চিকিৎসার বিকল্প নয়—বরং সুষম খাদ্যের একটি সহায়ক উপাদান হিসেবে কাজ করে।
৪. রক্তে শর্করার ওঠানামা নিয়ন্ত্রণে রাখে
গবেষণায় পাওয়া গেছে, আদা শরীরের গ্লুকোজ ব্যবহারের প্রক্রিয়া উন্নত করতে পারে। রাতে আদা-গরম পানি পান করলে খাবারের পর রক্তে শর্করার হঠাৎ বৃদ্ধি কমে যেতে পারে, ফলে রাতের অপ্রয়োজনীয় ক্ষুধাও কমে। এতে পরের দিন সকালে শরীর আরও ভারসাম্যপূর্ণ অনুভব করে।
৫. ঘুমের মান ভালো করে
আদা সরাসরি ঘুম আনে না, তবে হজমজনিত চাপ কমিয়ে ঘুমের পরিবেশকে আরামদায়ক করে। পেট হালকা লাগলে শরীর স্বাভাবিকভাবেই শান্ত হয়, সহজে ঘুম আসে এবং রাতের ঘুম গভীর হতে পারে।
এসআর
মন্তব্য করুন: