ঘি শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ানোর উপাদান নয়—বিশেষত শীতকালে
এটি শরীরের জন্য বাড়তি সহায়ক হিসেবে কাজ করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠান্ডার সময় প্রতিদিন অল্প পরিমাণ ঘি খেলে উষ্ণতা, ত্বক–চুলের পুষ্টি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মতো নানা উপকার মিলতে পারে। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক—
১. শরীর গরম রাখে ও শক্তি জোগায়
ঘি-তে থাকা ভালো মানের স্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরে অতিরিক্ত তাপ উৎপাদনে সহায়তা করে। যাদের শীতে হাত–পা বেশি ঠান্ডা থাকে, ক্ষুধা কমে যায় বা সারাদিন ক্লান্তি লাগে—তাদের জন্য অল্প পরিমাণ ঘি উপকারী হতে পারে। এটি শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং সারাদিন চনমনে রাখে।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত করে
শীতকালে ঠান্ডা–কাশি ও নানা সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়, তাই দেহের প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী হওয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঘি-তে থাকে বিউটাইরেট, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সহায়তা করে। সুস্থ অন্ত্র মানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও ভালোভাবে কাজ করা। বিউটাইরেট প্রদাহ কমায় এবং অন্ত্রের দেয়ালকে সুরক্ষা দেয়।
৩. ত্বক ও চুলের শুষ্কতা কমায়
শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক খসখসে হয়ে যায়, চুলও রুক্ষ হয়ে ওঠে। ঘি-তে থাকা প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরকে ভিতর থেকে আর্দ্রতা জোগায়। নিয়মিত অল্প ঘি খেলে ত্বক উজ্জ্বল ও নরম দেখাতে পারে এবং চুলও কম ভঙ্গুর হয়।
৪. জয়েন্টের ব্যথা ও শক্তভাব হ্রাসে সাহায্য করে
ঠান্ডায় অনেকের হাঁটু ও শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা ও শক্তভাব দেখা দেয়। ঘি স্বাভাবিকভাবে লুব্রিক্যান্টের মতো কাজ করে, ফলে চলাফেরা সহজ হয়ে যায়। প্রতিদিন অল্প পরিমাণ ঘি গ্রহণ করলে শীতকালীন জয়েন্টের অস্বস্তি কমতে পারে।
৫. ভিটামিন শোষণে সাহায্য করে
শীতের সবজি—যেমন গাজর, পালং শাক, সরিষার শাক—এগুলোতে প্রচুর চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিন (A, D, E, K) থাকে। শরীরে যথেষ্ট স্বাস্থ্যকর চর্বি না থাকলে এ ধরনের ভিটামিন ভালোভাবে শোষিত হয় না। ঘি এই শোষণ প্রক্রিয়াকে সহজ করে, ফলে খাবারের পুষ্টিগুণ শরীর আরও ভালোভাবে পায়।
এসআর
মন্তব্য করুন: