[email protected] মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শীতে প্রতিদিন বিকেলে বাদাম খেলে কী হয়?

প্রতিদিনের বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২৫ ২:০১ পিএম

শীতের দিনে বিকেলের নাস্তা হিসেবে বাদাম খাওয়া শরীর ও

মনের জন্য অনেক উপকারী। ঠান্ডা আবহাওয়ায় আমাদের খাবারের দিকে ঝোঁক থাকে এমন কিছু খাবারের প্রতি যা শুধু আরামদায়ক নয়, উষ্ণতাও প্রদান করে। বাদাম সেই ধরনের খাবারের অন্যতম। প্রতিদিন বিকেলে এক মুঠো বাদাম খেলে শরীর অনেকভাবে লাভবান হয়।

বাদামের পুষ্টিগুণ
বাদাম হলো একটি পুষ্টিকর খাবার যা প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রেসভেরাট্রল সমৃদ্ধ। শীতকালে এটি শরীরে উষ্ণতা দেয় এবং বিকেলের নাস্তার জন্য আদর্শ। বাদামের মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং প্রোটিন শক্তি ধরে রাখে, আর নিয়াসিন ও ফোলেট স্বাস্থ্যকর বিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে।

বাদামে থাকা আর্জিনিন নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড রক্তপ্রবাহ সহজ করে এবং হৃদযন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। বাদামের ফাইবার হজমে সহায়তা করে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে, ফলে এটি ভাজা বা চিনি যুক্ত নাস্তার চেয়ে স্বাস্থ্যকর বিকল্প।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
শীতকালে বিপাক ধীর হয়ে যাওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। নিয়মিত বাদাম খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বাদামে থাকা জিঙ্ক ও ভিটামিন ই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন ও চর্বির সংমিশ্রণ ধীরে ধীরে হজম হওয়ায় এটি দীর্ঘস্থায়ী শক্তি প্রদান করে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
বিকেলে বাদাম খাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে এবং দেরিতে রাতের খাবার খাওয়ার অভ্যাস কমায়। দীর্ঘ সময় পেট ভরে রাখায় এটি ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং ক্যালোরি ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য
ঠান্ডা আবহাওয়া ত্বক শুষ্ক ও খসখসে করে তোলে। বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ভিটামিন ই ত্বককে ভিতর থেকে পুষ্ট করে, প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজারের মতো কাজ করে। এছাড়া এতে থাকা বায়োটিন চুলকে শক্তিশালী করে এবং ভাঙা রোধ করে। প্রতিদিন ২৫-৩০ গ্রাম বাদাম খেলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি পায় এবং চুল শীতকালে সুস্থ থাকে।

কিভাবে খাওয়া উচিত
বিশেষজ্ঞরা লবণবিহীন বা হালকা ভাজা বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন। অতিরিক্ত তেল বা মসলাযুক্ত বাদাম এড়ানো ভালো। কাঁচা বাদাম ভাজার আগে কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে পুষ্টি ভালোভাবে শোষিত হয়। চাইলে গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে পিনাট বার হিসেবেও খেতে পারেন, যা প্রোটিন ও আয়রন একসাথে পাওয়ার একটি কার্যকর উপায়।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর