বাংলাদেশে ২০২৫ সালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আবারও উদ্বেগজনক
হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক এক দিনে ৮ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে চলতি বছরে মোট মৃত্যু ৩৬৪ জনে পৌঁছেছে। এ বছর এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজারেরও বেশি।
২০২৪ সালে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় ১ লাখ ১ হাজার এবং মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের। তার আগের বছর ২০২৩ সালে রেকর্ডসংখ্যক—৩ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয় এবং ১,৭০০-র বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে, যা ছিল দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ডেঙ্গু পরিস্থিতি।
এখন ডেঙ্গু শুধু ঢাকা নয়—চট্টগ্রাম, বরিশাল, ময়মনসিংহসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার মনে করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডেঙ্গুর বিস্তারের মূল কারণ হলো জলবায়ু পরিবর্তন।
তার মতে:
ডেঙ্গু সাধারণত গ্রীষ্ম ও বর্ষায় বেশি দেখা যায়।
কিন্তু এবার নভেম্বরেও তুলনামূলক উচ্চসংখ্যক আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।
এর কারণ হলো বর্ষাকাল দীর্ঘায়িত হওয়া এবং স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়া।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশে তাপমাত্রা ২০–৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে প্রায় সারা বছর, যা এডিস মশার প্রজননের জন্য আদর্শ।
বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা—এই বছর পরিস্থিতি তুলনামূলক নিয়ন্ত্রিত মনে হলেও, হঠাৎ করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়ে গেছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: