শীতের হাওয়া বইতে শুরু করলেই শিশুদের নানা অসুস্থতার ঝুঁকি
বাড়ে। তাই মৌসুমের শুরুতেই একটু বাড়তি সতর্কতা নিলে দুরন্ত ছোট্টটিকে সহজেই সুস্থ ও নিরাপদ রাখা যায়। আবার বছরের শেষ হওয়ায় স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে শিশুরা তুলনামূলক বেশি সময়ই ঘরে থাকে—যার ফলে তাদের দেখভাল করাও সহজ হয়। শীতকালে শিশুর যত্নে যে বিষয়গুলোতে জোর দিতে হবে, চলুন সেগুলো দেখে নেওয়া যাক—
শিশুর খাবারে সতর্কতা
শীতের সময় রোগ প্রতিরোধে পুষ্টিকর খাবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে সব খাবার শিশুর পেট সহ্য নাও করতে পারে—যা বড়দের ক্ষেত্রে সমস্যা না-ও হতে পারে। তাই বাইরে তৈরি খাবার বা খোলা খাবার একদম এড়িয়ে চলতে হবে।
শিশুর প্লেটে ঘরে রান্না করা খাবারই রাখুন।
যা যা নিয়মিত রাখতে পারেন—
মৌসুমি সবজি ও ফল
দুধ, ডিম, মাছ ও মুরগি
বিশুদ্ধ পানি, ডাবের পানি বা ঘরে বানানো শরবত
শীতে অনেক শিশু পর্যাপ্ত পানি খেতে চায় না, তাই নানা ধরনের তরল খাবারের মাধ্যমে শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি।
আরামদায়ক শীতের পোশাক
শিশুর শীতের পোশাক কেনার ক্ষেত্রে আরামের বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শিশুরা দ্রুত বেড়ে ওঠে, ফলে আগের বছরের পোশাক অনেক সময় আর মাপসই হয় না। তাই নতুন পোশাক প্রয়োজন কি না দেখে নিন।
পোশাক কেনার সময়—
আরামদায়ক কি না
যথেষ্ট উষ্ণতা দেবে কি না
—এগুলো আগে পরীক্ষা করুন।
চুলকায় বা অস্বস্তি হয় এমন কোনো কাপড় থেকে শিশুকে দূরে রাখুন।
শিশুর ত্বকের বাড়তি যত্ন
শিশুর কোমল ত্বক বড়দের তুলনায় আরও সংবেদনশীল। তাই বড়দের স্কিনকেয়ার পণ্য কখনোই শিশুর ত্বকে ব্যবহার করবেন না। বাজারে শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি আলাদা পণ্য পাওয়া যায়—সেগুলোই ব্যবহার করতে হবে।
যা করবেন—
প্রতিদিন গোসলের পর ময়েশ্চারাইজার লাগান
দিনে অন্তত আধা ঘণ্টা রোদে থাকতে দিন (ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে)
এসআর
মন্তব্য করুন: