এক মাস ধরে প্রতিদিন গ্রিন টি পান করা শুনতে সাধারণ অভ্যাসের
মতো লাগলেও এর প্রভাব হতে পারে অনেক বিস্ময়কর। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এশীয় দেশগুলোতে গ্রিন টি ব্যবহৃত হয়ে আসছে চিকিৎসাগত গুণের জন্য। নিয়মিত পানে এটি যেমন বিপাকক্রিয়া সচল রাখতে সাহায্য করে, তেমনি ত্বক, মস্তিষ্ক ও সামগ্রিক সুস্থতায়ও যোগ করে বাড়তি সুবিধা। আপনি যদি টানা ৩০ দিন প্রতিদিন এক বা দুই কাপ গ্রিন টি পান করেন—তাহলে শরীরে কী কী পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারেন? চলুন দেখে নেওয়া যাক—
১. বিপাকক্রিয়া সক্রিয় হয়ে ওঠে
গ্রিন টি-এর সবচেয়ে পরিচিত উপকারিতা হলো এর থার্মোজেনিক ক্ষমতা—যা শরীরকে আরও কার্যকরভাবে ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করে। আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রিন টি নির্যাস মাঝারি মাত্রার ব্যায়ামের সময় ফ্যাট জারণ প্রায় ১৭% পর্যন্ত বাড়াতে পারে।
এ ছাড়া অন্য গবেষণাগুলোও বলছে, গ্রিন টি-তে থাকা ক্যাটেচিন শক্তি ব্যয় বাড়াতে পারে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
ফলে নিয়মিত এক মাস পান করলে অনেকেই হজম উন্নত হওয়া, শক্তি বাড়া এবং পেট ফুলে থাকার সমস্যা কমে যাওয়ার মতো পরিবর্তন লক্ষ্য করেন।
২. ত্বক হয়ে ওঠে আরও স্বচ্ছ
গ্রিন টি-তে পলিফেনল এবং EGCG নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা প্রদাহ কমাতে এবং ত্বকের ক্ষত দ্রুত সারাতে সহায়তা করে। জার্নাল অফ দ্য আমেরিকান একাডেমি অফ ডার্মাটোলজি-তে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, গ্রিন টি ব্রণজনিত প্রদাহ কমাতে এবং সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে পারে।
তাই নিয়মিত পান করলে ত্বক ধীরে ধীরে আরও পরিষ্কার ও উজ্জ্বল হয়ে উঠতে পারে।
৩. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়
গ্রিন টি-তে থাকা L-theanine নামের অ্যামাইনো অ্যাসিড মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং মানসিক চাপ কমায়। নিউট্রিশনাল নিউরোসায়েন্স-এর এক গবেষণায় দেখা যায়, এল-থিয়ানিন কম মাত্রার ক্যাফেইনের সঙ্গে মিলিত হয়ে একাগ্রতা, মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে পারে।
এক মাস নিয়মিত পান করলে অনেকে মেজাজ স্থির হওয়া, কাজের প্রতি বেশি ফোকাস এবং স্মরণশক্তি বাড়ার কথা জানান।
এসআর
মন্তব্য করুন: