রক্তে থাকা চর্বিজাতীয় উপাদান কোলেস্টেরল—যার রয়েছে ভালো
(HDL) ও খারাপ (LDL) উভয় দিক। যখন এলডিএল বেড়ে যায়, এটি রক্তনালীতে জমে রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
বিশেষজ্ঞদের মতে—
অতিরিক্ত কাজের চাপ, মানসিক স্ট্রেস, রাত জাগা, অনিয়মিত খাবার, ফাস্টফুড গ্রহণ ও দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা—এসব কারণেই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে।
তবে প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে কয়েকটি স্বাস্থ্যকর পানীয় যোগ করলে প্রাকৃতিকভাবেই খারাপ কোলেস্টেরল কমতে পারে, রক্তনালী সুস্থ থাকে এবং হার্টের ঝুঁকি কমে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ৫টি উপকারী পানীয়
১) গ্রিন টি
গ্রিন টিতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েডস নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এলডিএল কমাতে সাহায্য করে।
এটি—
প্রদাহ কমায়,
রক্তনালীর ভেতরের প্লাক ভাঙতে সহায়ক,
হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
চিনি ছাড়া প্রতিদিন ১–২ কাপ গ্রিন টি খুবই কার্যকর।
২) বেদানার রস
বেদানার রসে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা এলডিএলের অক্সিডেশন প্রতিরোধ করে।
এটি ধমনীতে প্লাক জমা কমাতে ভূমিকা রাখে।
যাদের উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সেবন করতে হয় বা যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে—
তাদের বেদানার রস খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
৩) সয় মিল্ক
উদ্ভিজ্জ প্রোটিনসমৃদ্ধ সয় মিল্ক—
খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমায়,
ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়ায়।
দৈনিক খাদ্যতালিকায় সয় মিল্ক যুক্ত করলে কোলেস্টেরল ভারসাম্য বজায় থাকে এবং হার্টও হয় আরও শক্তিশালী।
৪) টমেটোর রস
টমেটোতে থাকা লাইकोপিন কোষ সুরক্ষায় কাজ করে। এটি—
প্রদাহ কমায়,
রক্তনালীর সুস্থতা বজায় রাখে,
হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
নিয়মিত টমেটোর রস পান করলে এলডিএল কমে এবং এইচডিএল বাড়তে সাহায্য করে।
৫) বিটের রস
বিটরুটে রয়েছে পলিফেনল ও বেটানিন, যা—
ধমনীর স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়,
রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে,
এলডিএল নিয়ন্ত্রণ ও এইচডিএল বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
এতে ফ্যাট ও সোডিয়ামের মাত্রা কম হওয়ায় এটি হার্ট–বান্ধব পানীয় হিসেবে পরিচিত।
এসআর
মন্তব্য করুন: