রসালো ও সুগন্ধি স্ট্রবেরি শুধু স্বাদের জন্যই জনপ্রিয় নয়—এটি
শরীরের জন্যও এক দারুণ উপকারী ফল। শীতের শুরুতে ত্বক রুক্ষ হয়ে যাওয়া, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়া এবং মিষ্টি খাবারের প্রতি আকাঙ্ক্ষা বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলো স্বাভাবিক। এই সময়ে প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি, পুষ্টিতে ভরপুর স্ট্রবেরি হতে পারে অসাধারণ একটি সংযোজন। চলুন দেখে নেওয়া যাক, এই ফলের প্রধান উপকারিতাগুলো—
১. রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়
স্ট্রবেরিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। শীতকালে যথেষ্ট ভিটামিন সি গ্রহণ শরীরকে ঠান্ডা-কাশি, ফ্লু ও অন্যান্য মৌসুমি সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। তাই ইমিউনিটি মজবুত রাখতে স্ট্রবেরি খুবই কার্যকর।
২. ত্বক স্বাস্থ্যকর রাখে
এই ফলে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। এতে শীতের শুষ্কতা কমে এবং ত্বক আরও উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত দেখায়। নিয়মিত স্ট্রবেরি খাওয়া ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়ক।
৩. প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়
স্ট্রবেরিতে থাকা এলাজিক অ্যাসিড ও অ্যান্থোসায়ানিন প্রদাহ কমাতে কার্যকর। এগুলো শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে, যা শীতের সময় বেশি দেখা যায়। প্রদাহজনিত সমস্যা কমাতে এটি খুবই উপকারী।
৪. হৃদযন্ত্রের সুরক্ষা দেয়
নিয়মিত স্ট্রবেরি খেলে ‘খারাপ’ এলডিএল কোলেস্টেরল কমে এবং রক্তসঞ্চালন উন্নত হয়। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। হৃদস্বাস্থ্য ভালো রাখতে তাই স্ট্রবেরি হতে পারে চমৎকার একটি ফল।
৫. রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে
স্ট্রবেরির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম এবং এতে পলিফেনল থাকে, যা ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটি ভূমিকা রাখে। পরিমিত পরিমাণে স্ট্রবেরি ডায়াবেটিস রোগীরাও খেতে পারেন।
৬. হজমশক্তি বাড়ায়
স্ট্রবেরিতে থাকা ফাইবার হজমপ্রক্রিয়া সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। শীতকালে পানি কম পান করা ও ভারী খাবার বেশি খাওয়ার কারণে হজমে সমস্যা বাড়ে—স্ট্রবেরি সেই সমস্যা দূর করতে সহায়ক।
সর্বোপরি, স্বাদে অতুলনীয় স্ট্রবেরি শীতকালীন খাদ্যতালিকায় রাখলে একসঙ্গে ত্বক, হজম, হৃদযন্ত্র এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা—সবই ভালো থাকে।
এসআর
মন্তব্য করুন: