[email protected] শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

বাজার খরচ কমানোর উপায় জেনে নিন

প্রতিদিনের বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০২৫ ৮:২০ এএম

বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির কারণে বাজারের প্রায় সব পণ্যের দামই

বেড়ে গেছে। তবে সচেতনভাবে বাজার করলে অনেক খরচই কমানো সম্ভব। কিছু সহজ কৌশল অনুসরণ করলে অল্প খরচে প্রয়োজনীয় ও পুষ্টিকর খাবার কেনা যায়। নিচে খরচ বাঁচানোর কয়েকটি উপায় দেওয়া হলো—

১. আগে থেকেই পরিকল্পনা করুন

কেনাকাটার আগে তালিকা তৈরি করলে অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা কমে। অনেক পরিবারই অজান্তে কেনা খাদ্যের প্রায় ৩০ শতাংশ নষ্ট করে ফেলে। তাই বাড়িতে কী আছে তা দেখে প্রয়োজন অনুযায়ী তালিকা করুন—এতে অর্থও বাঁচবে, অপচয়ও কমবে।

২. খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন আনুন

তাজা ফল ও শাকসবজি তুলনামূলক কম খরচে সুস্থ থাকার উপায়। এগুলো বেশি খেলে প্যাকেটজাত খাবার, টিনজাত পণ্য, শুকনো ফল কিংবা জাঙ্কফুডের উপর নির্ভরতা কমে। এতে খরচও কমে, শরীরও পায় প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বিশেষ করে দেশি ও মৌসুমি সবজি–ফল বেছে নিলে খরচ আরও কমবে।

৩. ছাড়–অফার খুঁজে নিন

অনেক দোকানে সময়ভেদে ছাড় বা বিশেষ অফার দেওয়া হয়। সেগুলো খুঁজে কিনলে সাশ্রয় হয়। একটি কিনলে আরেকটি ফ্রি, বা বিশেষ দামে পণ্য পাওয়া গেলে প্রয়োজনমতো দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা যায়। তবে ছাড় রয়েছে বলে অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা যাবে না—সেটি বরং খরচ বাড়াবে।

৪. প্রোটিনের উৎস নিয়ে ভাবুন

মাংস, মাছ, হাঁস-মুরগি—এ ধরনের প্রোটিনের দাম তুলনামূলক বেশি। চাইলে খাদ্যতালিকায় সস্তা উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিন যুক্ত করতে পারেন, যেমন মসুর, ছোলা, মুগ, টোফু ইত্যাদি। মাংস পুরো বাদ না দিয়ে পরিমাণ কমিয়ে এসব খাবার যোগ করলে খরচ কমে।

৫. প্রয়োজনীয় জিনিস পাইকারি দরে কেনা

সব পণ্য বেশি কেনা বুদ্ধিমানের কাজ নয়, এতে অযথা খরচ বেড়ে যেতে পারে। তবে যেসব জিনিস নিয়মিত লাগে এবং নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম—সেগুলো পাইকারি দরে কিনলে ভালো সাশ্রয় হয়। আর যেসব খাবার দ্রুত নষ্ট হয়, সেগুলো বেশি পরিমাণে না কিনাই ভালো।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর