এন্ডোমেট্রিওসিস হলো একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা, যেখানে জরায়ুর
আস্তরণের মতো কোষ (এন্ডোমেট্রিয়াল কোষ) জরায়ুর বাইরে বৃদ্ধি পায়। এই টিস্যুটি সাধারণত পেলভিক অঞ্চলে থাকে, তবে কখনও কখনও ফ্যালোপিয়ান টিউব, ডিম্বাশয় বা অন্যান্য পেলভিসের টিস্যুতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
পরিসংখ্যান:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ১০ জন নারীর মধ্যে ১ জন এই সমস্যায় ভুগছেন, যা তাদের প্রজনন ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
লক্ষণসমূহ:
পেলভিক পেইন
পিরিয়ড বা সহবাসের সময় ব্যথা
মলত্যাগ বা প্রস্রাবের সময় ব্যথা
ভারী পিরিয়ড
ক্লান্তি, ডায়রিয়া, ফোলাভাব
কোষ্ঠকাঠিন্য
তীব্র খিঁচুনি
চিকিৎসা না করলে এন্ডোমেট্রিওসিস বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে। ইতিহাস আছে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার বা অ্যাডেনোকার্সিনোমার ঝুঁকি সামান্য বেড়ে যেতে পারে, তবে সারা জীবনের জন্য ঝুঁকিটি সাধারণত কম থাকে।
চিকিৎসা ও যত্ন:
বর্তমানে এন্ডোমেট্রিওসিসের স্থায়ী নিরাময় নেই, তবে ব্যথা নিয়ন্ত্রণ, পুষ্টিকর খাদ্য, ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।
খাবার যা এড়ানো উচিত:
কিছু খাবার এন্ডোমেট্রিওসিসের উপসর্গ বা অগ্রগতিকে প্রভাবিত করতে পারে:
ট্রান্স ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার: ভাজা, প্রক্রিয়াজাত বা ফাস্ট ফুড।
রেড মিট: বেশি গ্রহণের ফলে ঝুঁকি বাড়তে পারে।
গ্লুটেন: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, গ্লুটেন বাদ দিলে ব্যথা কমতে পারে।
এন্ডোমেট্রিওসিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারার প্রতি মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিকর খাবার, ব্যায়াম এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করলে উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
এসআর
মন্তব্য করুন: