শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়া ঠান্ডা হতে শুরু করে,
দিন ছোট হয় এবং কাজের চাপও বাড়ে। এই সময় শরীর ও মন দুই-ই প্রভাবিত হয়। তবে কিছু সহজ অভ্যাস গড়ে তুললে পুরো মৌসুমেই আপনি থাকতে পারেন সুস্থ, সতেজ ও উজ্জীবিত। চলুন দেখে নেওয়া যাক শীতের আগে কী কী প্রস্তুতি নেবেন—
১️. পর্যাপ্ত ও মানসম্মত ঘুম
শীতের সময় ঘুম একটু বেশি পায়, তবে পরিমাণের চেয়ে মানের দিকে গুরুত্ব দিন। প্রতিদিন ৭–৯ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন এবং ঘুমানোর সময় যেন প্রতিদিন প্রায় একই থাকে। শোবার ঘর ঠান্ডা রাখুন—৬০ থেকে ৬৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট (১৫–১৯°C) তাপমাত্রা ঘুমের জন্য সবচেয়ে আরামদায়ক বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
২️. শরীরকে আর্দ্র রাখুন
ঠান্ডা পড়লেই অনেকে পানি খাওয়া কমিয়ে দেন, কিন্তু শীতে ডিহাইড্রেশনও হতে পারে। শুষ্ক বাতাসে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায় এবং শরীর ক্লান্ত লাগে। তাই সারাদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন। চাইলে লেবু, আদা বা ভেষজ চা পান করে শরীর উষ্ণ ও হাইড্রেটেড রাখতে পারেন।
৩️. ত্বকের যত্ন নিন
শীতের বাতাস ত্বক শুষ্ক করে দেয়, ফলে ত্বক ফেটে যাওয়া বা রুক্ষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই গোসলের পরপরই ময়েশ্চারাইজার বা বডি অয়েল ব্যবহার করুন যাতে আর্দ্রতা ধরে রাখা যায়। সঙ্গে রাখুন ভালো মানের লিপ বাম ও হ্যান্ড ক্রিম, কারণ ঠোঁট ও হাতেই শুষ্কতার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে।
৪️. ভিটামিন ডি গ্রহণ করুন
শীতে সূর্যের আলো কম পাওয়ায় অনেকেই ভিটামিন ডি-র ঘাটতিতে ভোগেন, যা ক্লান্তি ও মনমেজাজে প্রভাব ফেলতে পারে। প্রতিদিন অন্তত ১০–১৫ মিনিট রোদে সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। সূর্যালোক কম পাওয়া যায় এমন এলাকায় থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন।
৫️. পুষ্টিকর খাবার খান
শীত মানেই ভারী খাবারের আমেজ, কিন্তু পুষ্টি বজায় রাখাও জরুরি। মৌসুমি সবজি, শাকপাতা, মিষ্টি আলু ইত্যাদি খাবার রাখুন প্রতিদিনের তালিকায়। স্বাস্থ্যকর উপকরণে তৈরি গরম স্যুপ বা স্টু শরীরকে যেমন উষ্ণ রাখবে, তেমনি প্রয়োজনীয় পুষ্টিও জোগাবে।
একটু সচেতন থাকলে শীতকালটা হয়ে উঠতে পারে প্রাণবন্ত, উষ্ণ ও সুস্থতার মৌসুম।
এসআর
মন্তব্য করুন: