[email protected] বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
২১ কার্তিক ১৪৩২

রাজশাহীতে ১০ মাসে ২৮ জন এইচআইভি পজিটিভ, বাড়ছে উদ্বেগ

প্রতিদিনের বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০২৫ ১০:৪০ এএম

রাজশাহীতে গত ১০ মাসে ২৮ জন নারী ও পুরুষসহ একজন হিজড়া এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময়ে একজন ব্যক্তি এইডসে মারা গেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগই ২০ থেকে ৩৫ বছর বয়সী। তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এই সংক্রমণের বৃদ্ধি উদ্বেগজনক। বিগত পাঁচ বছরের হিসাব অনুযায়ী এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান, আর চলতি বছরে এটি আরও দ্রুত বেড়েছে।

রাজশাহীতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এইচআইভি সংক্রমণ ক্রমবর্ধমান হচ্ছে। গত ছয় বছরে ১২,৪৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, যার মধ্যে ৯৩ জন পজিটিভ হয়েছেন এবং আটজনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ২,৩৪৬ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে, যার মধ্যে ২৮ জন এইচআইভি পজিটিভ হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশ পুরুষ, ২০–৩৫ বছর বয়সী তরুণ। সমকামিতার মাধ্যমে সংক্রমণ বেশি দেখা গেছে, এরপর যৌনকর্মীদের মাধ্যমে সংক্রমণ ঘটে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের এইচটিসি সেন্টারে (টেস্টিং ও কাউন্সেলিং) রোগীদের নিয়মিত পরীক্ষা ও কাউন্সেলিং দেওয়া হয়, যেখানে বোঝানো হয় যে রোগটি পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য না হলেও চিকিৎসা নিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে ওষুধের ব্যবস্থা নেই; পজিটিভ রোগীদের বগুড়ার শজিমেক থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ নিতে হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এআরটি সেন্টার চালুর উদ্যোগ নিয়েছে, যা চালু হলে রোগীরা এখানেই ওষুধ নিতে পারবেন।

চিকিৎসকেরা বলেন, এইচআইভি মূলত অরক্ষিত যৌনমিলন, সমকামিতা, মা থেকে শিশুর সংক্রমণ এবং সেঁচর/shared needle ব্যবহার থেকে ছড়ায়। প্রতিরোধের জন্য কনডম ব্যবহার, সীমিত যৌনসঙ্গী, নিরাপদ রক্ত ও অঙ্গ প্রতিস্থাপন, পরিচ্ছন্ন ইনজেকশন ব্যবহার, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে মা ও সন্তানের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

সংক্রমণের কারণে আক্রান্তরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারেন এবং আত্মহত্যার চিন্তা করতে পারেন। সেন্টারে নিয়মিত কাউন্সেলিং দেওয়া হয় যাতে রোগীরা মানসিকভাবে সুস্থ থাকেন এবং নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহণ করেন।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর