৭৩৯টি ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের এখতিয়ার বহাল রাখল হাইকোর্ট

দেশের বাজারে ৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা আবারও সরকারের হাতে ফিরল।

‘ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২’-এর ১১ ধারায় দেওয়া এই ক্ষমতা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২৫ আগস্ট) বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সংক্রান্ত রায় ঘোষণা করেন।

১৯৯৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি গেজেট প্রকাশ করে ৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণ করে। কিন্তু এর এক বছর পর, ১৯৯৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি সার্কুলারের মাধ্যমে সরকারের ক্ষমতা সীমিত করে মাত্র ১১৭টি ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের হাতে রাখা হয়। বাকি ওষুধের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা দেওয়া হয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) ২০১৮ সালে জনস্বার্থে রিট দায়ের করে ওই সার্কুলারকে চ্যালেঞ্জ করে। একইসঙ্গে কেন সেটিকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে না— তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ (২৫ আগস্ট) হাইকোর্ট রায়ে সার্কুলার বহাল না রেখে সরকারের ক্ষমতা পুনঃস্থাপন করেন। এর ফলে ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণের এখতিয়ার উৎপাদনকারীদের পরিবর্তে আবার সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে ফিরল।

রায়ে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ওষুধ মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।

রিটকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন,

“১৯৮২ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী সরকারকে ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ১৯৯৪ সালের সার্কুলারের মাধ্যমে সে ক্ষমতা সীমিত করে দেওয়া হয়। আজকের রায়ের মাধ্যমে সরকার আবারও পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেল।”