কোলেস্টেরল শরীরের জন্য একটি প্রয়োজনীয় উপাদান, যা স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রম, হরমোন উৎপাদন ও কোষ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে
তবে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। অতিরিক্ত কোলেস্টেরল রক্তনালিতে জমে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস নামক রোগের সৃষ্টি করে, যার ফলে রক্তনালি সরু ও শক্ত হয়ে যায়। সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে হৃদরোগ এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
বারডেম হাসপাতালের চিফ নিউট্রিশন অফিসার পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার আলো জানিয়েছেন, কিছু অভ্যাস ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
বর্জনীয় খাবার:
নিম্নোক্ত উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে—
ঘি, মাখন, গরু ও খাসির চর্বি, কলিজা, মগজ, মাছের ডিম, বড় মাছের মাথা, বড় চিংড়ি, নারিকেল, দুধের সর, হাঁসের মাংস, হাড়ের মজ্জা, কনডেন্সড মিল্ক, কেক, পুডিং, কাস্টার্ড, আইসক্রিম, মিষ্টি, হালুয়া, ক্ষীর এবং মুরগির চামড়া।
ন্যাসিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন:
ন্যাসিন (ভিটামিন বি৩) কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে। এটি পাওয়া যায়—
আটা, আলুর খোসা, শাকসবজি, মাছ ও পরিজে।
প্রাকৃতিক উপায়:
খালিপেটে ১ কোয়া কাঁচা রসুন ও ২০-২৫টি কাঁচা ভিজানো ছোলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
ভালো চর্বির উৎস বেছে নিন:
অসম্পৃক্ত চর্বি যেমন উদ্ভিজ্জ তেল (সয়াবিন, অলিভ অয়েল), বাদামের তেল ও মাছের তেল কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক।
প্রয়োজনীয় খনিজ গ্রহণ:
খাদ্যে ক্লোরিন, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়ামের সঠিক মাত্রা বজায় রাখলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড:
মাছের তেলে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রক্ত জমাট বাঁধা রোধ করে এবং ক্ষতিকর চর্বি (LDL) কমাতে সহায়ক।
নিরাপদ খাবারের তালিকা:
চা, কফি, যেকোনো ফল, শাকসবজি, বাদাম তেল, সয়াবিন তেল, ডাল, মাছ ও ডিমের সাদা অংশ কোলেস্টেরল মুক্ত এবং স্বাস্থ্যকর।
এসআর
মন্তব্য করুন: