পাঁচ বছর আগে বিশ্ব করোনাভাইরাসের ভয়াবহ মহামারী পেরিয়েছে। এখন বিশেষজ্ঞরা নতুন একটি মহামারীর সম্ভাবনা নিয়ে সতর্ক করছেন। ২০২৫ সালে ফের একটি মহামারীর উদ্ভব হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
যদিও এই সম্ভাব্য মহামারীর রোগের নাম নির্ধারণ করা যায়নি, তবে বিশেষজ্ঞরা একে ‘ডিজিজ-এক্স’ বলে অভিহিত করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা হাম, কলেরা, বার্ড-ফ্লু এবং স্ক্যাবিসসহ ১১টি রোগকে সম্ভাব্য মহামারীর তালিকায় রেখেছেন। এর মধ্যে এইচএমপিভি (হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস) সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে।
চীনে এইচএমপিভি পরিস্থিতি:
চীনে এইচএমপিভির প্রকোপ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। দেশটির হাসপাতালগুলোতে ঠাণ্ডাজনিত রোগীদের ভিড় বাড়ছে, যা করোনার সময়ের চিত্র মনে করিয়ে দিচ্ছে। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন শিশু ও বয়স্করা, বিশেষত শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা।
লক্ষণসমূহ:
•জ্বর
•নাকবন্ধ
•কাশি
•শ্বাসকষ্ট
অবস্থার অবনতি হলে ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা বা কানে ইনফেকশনের মতো জটিলতাও দেখা দিতে পারে।
ভারতের সতর্কতা:
ভারত আগাম প্রস্তুতি হিসেবে এইচএমপিভি নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
ভারতের স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক ড. অতুল গয়াল জানিয়েছেন, শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত কোনো সমস্যাকে ছোট করে দেখার উপায় নেই। আপাতত এটিকে সাধারণ ফ্লু হিসেবে দেখা হচ্ছে, তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের সতর্ক রাখা হয়েছে।
প্রতিরোধ এবং প্রতিকার:
বর্তমানে এইচএমপিভির জন্য কোনো টিকা নেই। তবে করোনাকালে নেওয়া প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপগুলো কার্যকর হতে পারে:
* ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া।
* অপরিষ্কার হাতে নাক-মুখ স্পর্শ না করা।
* আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা।
বিশ্বের মানুষের মধ্যে এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাব নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। চিকিৎসকরা মনে করছেন, আগাম সতর্কতা গ্রহণ করলে এর বিস্তার রোধ করা সম্ভব।
এসআর
মন্তব্য করুন: