জালিয়াতি, প্রতারণা ও ব্যবসায়িক লেনদেনে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রাজাসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
অন্য আসামিরা হলেন—ইউনাইটেড হাসপাতালের এফসিএ মোস্তাক আহমেদ, সাব্বির আহমেদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
মঙ্গলবার আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ আহমেদ জানান, ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হক গত রোববার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এ পরোয়ানা জারি করেন।
আদালত আগামী ১৪ জানুয়ারি গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেছেন।
আদালতের আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ অভিযোগগুলো দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪২০ এবং ১০৯ ধারার আওতাভুক্ত।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ইউনাইটেড হাসপাতালের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রহমান খান ১৫ বছর দায়িত্ব পালন করার পর ২০২০ সালের মে মাসে করোনাকালীন সময়ে হাসান মাহমুদ রাজাসহ অন্যান্য আসামিরা তাকে পদত্যাগে বাধ্য করেন।
এ সময় ফরিদুর রহমানের ১ লাখ ২০ হাজার ১৬৫টি শেয়ার আসামিরা দখল করেন। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য ১ হাজার টাকা হিসাবে মোট ১২ কোটি ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পরিশোধ করা হয়নি।
এ ছাড়া তার শেয়ার থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের প্রায় ১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী খন্দকার গোলাম কিবরিয়া জোবায়েরের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে আদালত এ নির্দেশ দেন।
আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করে নির্ধারিত তারিখে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: