ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত রোগ, যা ডেংভ ভাইরাসের কারণে হয়।
আক্রান্ত হওয়ার ৩-১৪ দিনের মধ্যে এই রোগের লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়, যার মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, মাংসপেশি ও হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা, এবং মাঝে মাঝে ত্বকে র্যাশ।
ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে রোগীর পুষ্টি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সঠিক খাবার গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
খাবার প্রাথমিক ধাপে:
তরল খাবার: প্রাথমিক পর্যায়ে তরল খাবার গ্রহণ করা শ্রেয়, কারণ এটি শরীর সহজে গ্রহণ করতে পারে। অল্প অল্প করে তরল খাবার খেলে শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ হতে পারে এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ডাবের পানি: প্রচুর পরিমাণে ডাবের পানি পান করুন, যা ইলেক্ট্রোলাইট ও পুষ্টিতে সমৃদ্ধ।
উত্তরণের ধাপে:
সহজে হজমযোগ্য খাবার: খিচুড়ি, দই, ভাত, পোরিজ, সেদ্ধ আলু এবং সেদ্ধ শাকসবজি (যেমন পেঁপে, কুমড়ো, সবুজ মটর) খেতে পারেন।
লেবুর রস: স্বাদ বাড়ানোর জন্য লেবুর রস ব্যবহার করুন, যা ভিটামিন সি-র ভালো উৎস।
ফলের রস ও স্যুপ: এসব খাবারের পাশাপাশি প্রচুর তরল, যেমন ফলের রস এবং স্যুপ খাওয়া প্রয়োজন।
যেসব বিষয় মনে রাখতে হবে
পানির ঘাটতি পূরণ: ডেঙ্গু হলে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হতে পারে, যা পূরণ করা জরুরি।
ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন (ওআরএস): চিকিৎসকের পরামর্শে শরীরের পানিশূন্যতা পূরণের জন্য ওআরএস গ্রহণ করতে পারেন, যা পটাসিয়াম সরবরাহ করে।
আদা পানি: আদা পানি অনেক রোগীর বমি বমি ভাব মোকাবিলায় সহায়ক হতে পারে।
খাওয়া যাবে না
চর্বিযুক্ত ও ভারী খাবার: এই সময়ে তেল ও মশলাযুক্ত খাবার পরিহার করা উচিত।
কফি ও ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়: এগুলো শরীরকে আরো ডিহাইড্রেটেড করতে পারে।
ডেঙ্গু রোগীকে সঠিক খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করুন।
এসআর
মন্তব্য করুন: