সপ্তাহে তিনবারের কম পায়খানা হওয়া অথবা পায়খানার সময় ব্যথা অনুভব করলে শিশুকে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে বলে ধরা হয়।
শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ সমস্যা, যা জন্মের পর থেকেই দেখা দিতে পারে এবং ছয় মাস পর থেকে আরও বাড়তে থাকে। এ সময়ে অনেক শিশু পর্যাপ্ত বুকের দুধ না পেলে বা ফর্মুলা দুধের ওপর নির্ভরশীল হলে কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য কী?
সপ্তাহে তিনবারের কম পায়খানা হওয়া অথবা পায়খানার সময় ব্যথা অনুভব করলে শিশুকে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে বলে ধরা হয়। এ সময় শিশুরা পায়খানা করতে গিয়ে কষ্ট পায়, কান্নাকাটি করে, এমনকি মলে রক্তও থাকতে পারে। ফলে গ্যাস জমে শিশুর পেট ফুলে যায় এবং ব্যথার সৃষ্টি হয়।
প্রতিরোধে করণীয়
১. পুরো ছয় মাস বুকের দুধ: জন্মের পর পূর্ণ ছয় মাস শিশুকে শুধু মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত। ফর্মুলা দুধের ওপর নির্ভরশীল হওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
২. ছয় মাস পর খাদ্যতালিকা: ছয় মাস পর বুকের দুধের পাশাপাশি শিশুর খাবারে সলিউবল ফাইবার ও পানি যোগ করতে হবে।
৩. খালি পেটে পানি: এক বছর বয়সের পর থেকে সকালে খালি পেটে পানি খাওয়ানো এবং নাশতার আগে পটি ট্রেনিং করানো ভালো।
৪. খাদ্যতালিকায় ফাইবার ও পানি: শিশুর প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম ও পানি নিশ্চিত করতে হবে।
5. লো কমোড ব্যবহারে উৎসাহ: লো কমোড ব্যবহারে শিশুদের অভ্যস্ত করানো উচিত। হাই কমোড হলে পায়ের নিচে টুল রাখা যেতে পারে।
6. প্রতিদিন খেলাধুলা: শিশুর দৈনিক এক ঘণ্টা শারীরিক কসরত যেমন খেলাধুলা নিশ্চিত করতে হবে। এতে হজমশক্তি বাড়বে এবং পেট পরিষ্কার থাকবে।
শিশুর খাদ্যতালিকায় কী রাখতে হবে
বুকের দুধ, সাগু, লাল বা বাদামি চালের ভাত, লাল চিড়া, ওটস, ছাতু, পেঁপে, লাউ, চালকুমড়া, চিচিঙ্গা, ঝিঙা, লালশাক, পালংশাক, কলা, খেজুর ইত্যাদি।
কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন
যেসব শিশু কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছে, তাদের জন্য রুটি, শক্ত ভাত, পোলাও চালের ভাত, গরুর মাংস, ফর্মুলা মিল্ক এবং দুধ চা বাদ দেওয়া জরুরি।
পরামর্শ দিয়েছেন:
ফাতেমা সিদ্দিকী ছন্দা
ক্লিনিক্যাল ডায়াটিশিয়ান ও নিউট্রিশন কনসালট্যান্ট, ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, মালিবাগ, ঢাকা
এসআর
মন্তব্য করুন: